সর্বকালের শীর্ষ ১০ ধনী

কে বেশি ধনী ছিলেন? জন ডি রকফেলার নাকি চেঙ্গিস খান? খুব সহজ প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর বেশ কঠিন। কারণ, কিংবদন্তিসম এ ধনী ব্যক্তিদের জন্মের ব্যবধান কয়েক বা কয়েকশ’, এমনকি কয়েক হাজার বছর। তালিকায় এ শতকের বিল গেটস যেমন স্থান পেয়েছেন, তেমনি স্থান পেয়েছেন খ্রিষ্টের জন্মের সময়কার অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার বছর আগের রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার। রয়েছেন ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্রাট আকবর। তেমনি রয়েছেন আফ্রিকার দেশ মালির রাজা মানসা মুসা। স্থান পেয়েছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের একচ্ছত্র একনায়ক জোসেফ স্টালিনও! বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিখ্যাত শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ১০ ব্যক্তির তালিকা প্রস্তুত করেছে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন টাইম। বিভিন্ন কালের ধনী ব্যক্তিদের সময়ের বিরাট পার্থক্য ঘুচিয়ে তাদের সমপূর্ণ ভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কাঠামোগুলোর তুলনা করা হয়েছে ২০১৪ সালের অর্থনৈতিক কাঠামোর সঙ্গে। এরপরই হিসাব করা হয়েছে কার ছিল কত সমপদ, ২০১৪ সালের হিসাবে কতইবা তার মূল্যমান।
১০. চেঙ্গিস খান (১১৬২-১২২৭ খ্রিস্টাব্দ): মঙ্গোলিয়ার সম্রাট চেঙ্গিস খান দখল করেছেন তালিকার দশম স্থান। তবে তার ছিল বিপুল পরিমাণ জমি। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সামরিক নেতাদের একজন অবশ্যই চেঙ্গিস খান। চীন থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত মঙ্গল সাম্রাজ্যের নেতা হিসেবে তিনি বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু এত বিপুল ক্ষমতার পরও, ধন-সমপত্তির ভাণ্ডার বানানোর দিকে তার অত বেশি মনোযোগ ছিল না বলে অভিমত গবেষকদের। বরং, সমপদের ক্ষেত্রে উদারতা ও মহানুভবতা ছিল তার প্রভাব-পতিপত্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। কুইন্স কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিখ্যাত অধ্যাপক মরিস রোজাবির মতে, চেঙ্গিস খানের সফলতার অন্যতম কারণ ছিল, নতুন বিজিত রাজ্যের লুণ্ঠনকৃত সমপত্তি সামরিক অধিনায়ক ও সৈন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে দেয়া। ‘চেঙ্গিস খান অ্যান্ড দ্য মেকিং অব দ্য মডার্ন ওয়ার্ল্ড’- নামের বইয়ের জ্যাক ওয়েদারফোর্ড বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, আধুনিক যুগের আগের অনেক সেনাবাহিনীর মতো ছিল না মঙ্গল সৈন্যরা। নিজের জন্য লুট করা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। কোন এলাকা জয় করার পর, সেখানকার লুণ্ঠনকৃত প্রতিটি জিনিসের তালিকা হিসাব করা হতো। এরপর সেগুলো সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়া হতো। চেঙ্গিস নিজেও লুণ্ঠনের মালের একটি বড় অংশ পেতেন। তবে এর পরেও ক্ষমতা ও প্রভাবের তুলনায় অত ধনী তিনি হননি। ওয়েদারফোর্ড যেমনটা বলছিলেন, চেঙ্গিস খান নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য কোন প্রাসাদ, মন্দির, সমাধি এমনকি ঘরও বানাননি! তিনি জন্মেছিলেন তাঁবুর ঘরে, মৃত্যুও হয়েছিল সেখানে। তার মৃত্যুর পর তাকে সাধারণ কম্বলে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনকি অন্য ১০ জন সাধারণ মানুষের মতোই তাকে কবর দেয়া হয়েছিল।
৯. বিল গেটস (১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ-বর্তমান): বিল গেটস বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ জীবিত ধনী। আধুনিক জমানার ধনী ব্যক্তি হিসেবে তার সমপত্তির পরিমাণ নির্ণয় করা সহজ। এ বছর পর্যন্ত ফোর্বসের মতে, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সমপত্তির পরিমাণ ৭৮৯০ কোটি ডলার। এ মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি আমান্সিও ওর্তেগার চেয়েও তার সমপদের পরিমাণ ৮০০ কোটি ডলার বেশি!
৮. অ্যালান রুফুস উরফে অ্যালান দ্য রেড (১০৪০-১০৯৩ খ্রিস্টাব্দ): ইংল্যান্ডের ধনী এ ভদ্রলোকের ধনসমপদের পরিমাণ ছিল ১৯৪০০ কোটি ডলার। তিনি ছিলেন উইলিয়াম দ্য কনকয়েরের ভাতিজা। নরম্যান বিজয় অভিযানে চাচার সঙ্গে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মৃত্যুর সময় তার সমপত্তির পরিমাণ ছিল ‘মাত্র’ ১১ হাজার পাউন্ড। ‘দ্য রিচেস্ট অব দ্য রিচ’- বইয়ের লেখকদ্বয় ফিলিপ বেরেসফোর্ড ও বিল রুবিনস্টেইনের মতে, এ ‘সামান্য’ অর্থই ছিল তৎকালীন ইংল্যান্ডের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭ শতাংশ! ২০১৪ সালে এ অর্থের আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৯৪০০ কোটি ডলার!
৭. জন ডি রকফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ): ১৮৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জন ডি রকফেলার পেট্রলিয়াম শিল্পে বিনিয়োগ করা শুরু করেন। মাত্র ১৭ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১৮৮০ সালের দিকে তার স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল কোমপানি আমেরিকার মোট তেল উৎপাদনের ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে তার শোকগাঁথায় বলা হয়েছে, ১৯১৮ সালে দেয়া আয়কর অনুযায়ী তার মোট সমপত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫০ কোটি ডলার। যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন অর্থনীতির ২ শতাংশ! তার এ ১৫০ কোটি ডলার ২০১৪ সালের মূল্যমানে ৩৪১০০ কোটি ডলার সমপরিমাণের।
৬. অ্যান্ড্রু কার্নেগি (১৮৩৫-১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ): রকফেলার হয়তো মানুষের কাছে বেশিই পরিচিত। কিন্তু অ্যান্ড্রু কার্নেগিই ছিলেন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। এ স্কটিশ অভিবাসী ১৯০১ সালে তার কোমপানি ইউএস স্টিল ৪৮ কোটি ডলারে বিক্রি করেন জে.পি মর্গানের কাছে। সে সময় এটি ছিল মার্কিন জাতীয় প্রবৃদ্ধির ২.১ শতাংশের চেয়েও কিছুটা বেশি। কার্নেগির এ অর্থনৈতিক শক্তি ২০১৪ সালের হিসাবে দাঁড়ায় ৩৭২০০ কোটি ডলারে।
৫. জোসেফ স্টালিন (১৮৭৮-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ): আধুনিক অর্থনৈতিক ইতিহাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের আলোচিত-সমালোচিত একনায়ক স্টালিন ছিলেন ব্যতিক্রমী এক চরিত্রের। তিনি ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী একজন স্বৈরাচার। তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল অংশই নিয়ন্ত্রণে রাখতেন তিনি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সমপদ ও স্টালিনের সমপদ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব ছিল! সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতির ওপর তার একাধিপত্য ও সমপূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ফলে বহু অর্থনীতিবিদ তাকে বিশ্বের ইতিহাসের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান দিয়েছেন। তাদের যুক্তি পরিষ্কার। ১৯৫০ সালে, অর্থাৎ স্টালিনের মৃত্যুর তিন বছর আগে, বিশ্বের মোট অর্থনীতির ৯.৫ শতাংশই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। ২০১৪ সালের হিসাবে এ পরিমাণ অর্থের মোট মূল্য ৭.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৭৫০০০০ কোটি ডলার। এ অর্থের সরাসরি মালিক ছিলেন না স্টালিন। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতির যে কোন দায় তার ওপরই বর্তাতো। বার্মিংহ্যামের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামার ইতিহাসের অধ্যাপক জর্জ ও. লিবার বলেন, স্টালিনের অপরিমেয় ক্ষমতা ছিল। এর ফলে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন কিছু করতে পারতেন তিনি। কোন ধরনের চেক বা ব্যালান্স ছাড়াই তিনি দুনিয়ার ছয় ভাগের এক ভাগ ভূমি নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর ফলেই কি স্টালিন দুনিয়ার ইতিহাসের অন্যতম বড় ধনী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন? লিবার এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন। এ অধ্যাপক উত্তর দিলেন এভাবে- যদি আপনি সমপদের সংজ্ঞার মধ্যে দিয়ে যেতে চান, তাহলে বলতে হয়, এসব তার সমপদ ছিল না। কিন্তু দেশের অর্থ বা সমপদে সমস্ত দখল তার ছিল। এ কারণে তাকে এ তালিকায় যুক্ত না করাটা কঠিন। তার সমপদ নিয়ে হয়তো অনিশ্চয়তা আছে। তবে এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, সামপ্রতিক ইতিহাসে ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক প্রতিপত্তিতে স্টালিনের ধারে কাছে কেউই ছিলেন না।
৪. সম্রাট আকবর (১৫৪২-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ): ভারতের মুঘল সাম্রাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী, ক্ষমতাবান ও সফল সম্রাট ছিলেন সম্রাট আকবর। তিনি যে সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন, তা ছিল তৎকালীন বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশ! ফরচুন ম্যাগাজিনের ক্রিস ম্যাথিউ প্রয়াত ইতিহাসবিদ অ্যাংগুস ম্যাডিসনকে উদ্ধৃত করে বলেন, আকবরের সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ছিল এলিজাবেথের সময়কার ইংল্যান্ডের সঙ্গে তুলনীয়। কিন্তু সে সময় সাধারণ মানুষের চেয়ে ভারতের অভিজাতদের সমপদের যে তফাৎ, তা ইংল্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনীতিবিদ ব্রাঙ্কো মিলানোভিচের গবেষণায় দেখা গেছে, মুঘল সাম্রাজ্য ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম সমপদশালী সাম্রাজ্য।
৩. সম্রাট শেনযং (১০৫৮-১০৮৫ খ্রিস্টাব্দ): বিশ্বের ইতিহাসে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যের একটি ছিল চীনের সোং সাম্রাজ্য। তামকাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সোং সাম্রাজ্য বিষয়ে চীনা অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রোনাল্ড এ. এডওয়ার্ডসের মতে, শেনযং-এর সময় বিশ্বের মোট অর্থনীতির ২৫-৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতো সোং সাম্রাজ্য। প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতা ও কর আদায়ের চরম দক্ষতার কারণে সাম্রাজ্যটি এত সমপদশালী হয়ে উঠে। শেনযং-এর সময়ে কর আদায়ের যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হতো, তা আয়ত্ত করতে ইউরোপিয়ান সরকারগুলোর কয়েকশ’ বছর সময় লেগেছে। অধ্যাপক এডওয়ার্ডস আরও বলেন, সোং সাম্রাজ্যের সরকার ছিল খুবই কেন্দ্রীভূত। এর অর্থ, সম্রাট শেনযং সমস্ত অর্থনীতি একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন।
২. অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিস্টপূর্ব-১৪ খ্রিস্টাব্দ): সম্রাট অগাস্টাস সিজার তৎকালীন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ২৫-৩০ শতাংশ ভূমিকা রাখা রোমান সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। শুধু তাই নয়। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ইয়ান মরিসের মতে, একপর্যায়ে অগাস্টাস সিজার ব্যক্তিগতভাবে তার সাম্রাজ্যের মোট অর্থনীতির ৫ ভাগের ১ ভাগ নিজের দখলে রাখেন। এ সমপদের পরিমাণ ২০১৪ সালের হিসেবে ৪৬০০০০ কোটি ডলারের সমান! অধ্যাপক মরিসের মতে, এক সময় সিজার পুরো মিশরেরই মালিক ছিলেন।
১. মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭ খ্রিস্টাব্দ): নামটা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই হয়তো অপরিচিত। কিন্তু টাইমের মতে মানসা মুসাই বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি ছিলেন তিমবুকুতুর (তৎকালীন মালি) রাজা। ইতিহাসবিদরা তাকে প্রায়ই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। ফেরাম কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক রিচার্ড স্মিথের মতে, মুসার পশ্চিম আফ্রিকার রাজ্যটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদনকারী অঞ্চল। আর সে সময়কার বিশ্বে স্বর্ণের চাহিদা ও আবেদন ছিল অন্যরকম। প্রশ্ন হলো, মুসার সমপদের মূল্যমান কতো? এর উত্তর হলো, সংখ্যায় প্রকাশের অযোগ্য! সত্যিকার অর্থেই তাই। ওপরের তালিকার সবারই সমপদের পরিমাণ রয়েছে বা পৃথিবীর কত শতাংশ অর্থনীতি তারা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, তার বর্ণনা রয়েছে।

কিন্তু মুসার সমপদের বিপরীতে কোন সংখ্যা দাঁড় করানোরই উপায় নেই! তার সমপদ ও বিলাসবহুল জীবনের বহু গল্প প্রচলিত আছে। যেমন: কথিত রয়েছে, মক্কায় একবার তিনি হজ করতে যান। সে সময় তিনি এত অর্থ খরচ করেন যে, মিশরে মুদ্রার সংকট দেখা দেয়! তিনি শত শত উটের পিঠে হাজার হাজার কেজি সোনা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্মিথ বলেন, সে সময় মালির সোনার উৎপাদন ছিল বছরপ্রতি ১ টন! অনেকে বলেন, মুসার সেনাবাহিনীতে ছিল ২ লাখ পুরুষ সেনা ও ৪০ হাজার তীরন্দাজ। এ বিপুল পরিমাণ সেনা এখনকার আধুনিক সুপার পাওয়ার দেশগুলোর জন্যও যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা কঠিন হয়ে যাবে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক রুডলফ ওয়ার ব্যাখ্যা করে বলেন, মুসার ধনসমপত্তি এত বিপুল ছিল যে মানুষ সেসব বর্ণনা করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতো! ওয়ারের মতে, মুসা ছিলেন এমন এক ধনী ব্যক্তি, যার মতো কাউকেই পৃথিবীর মানুষ কখনও দেখেনি। মুসার সমপদ বর্ণনার জন্য মানুষ শব্দ খুঁজে পেতো না। কিছু ছবি পাওয়া গেছে যেখানে দেখা গেছে, স্বর্ণের মুকুট মাথায় দিয়ে স্বর্ণের সিংহাসনে বসে স্বর্ণ নির্মিত রাজদণ্ড ধরে বসে আছেন মুসা। তার সমপদের পরিমাণ বের করার একটি দারুণ পদ্ধতি বের করেছেন ওয়ার! চিন্তা করুন একজন মানুষ কত স্বর্ণের মালিক হতে পারে! এরপর এ চিন্তার ফলাফল যত স্বর্ণ হবে, তা দ্বিগুণ করুন! এটাই হয়তো মুসার সমপদের পরিমাণ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর