ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেকার যুবকের অবাক আবিষ্কার, মিসকলেই চালু হয় কম্পিউটার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৪৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলেয়ে এগিয়ে চলছে দেশ। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর নামক গ্রামে এবার পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট নামক একটি নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বকে অবাক করা আবিষ্কার করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানি আজগর।

এই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট ব্যবহার করে পৃথীবির যে কোন স্থান থেকে একটি কম্পিউটার কে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ওই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট নিজের কম্পিউটারে মাদার বোর্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করে মোবাইলের সিমের মাধ্যেমে বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে একটি কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

অবাক করা এই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিটটি আবিষ্কার করেছেন সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার বেকার ছেলে আহসান হাবিব আজগর।

আজগর তার বুদ্ধি, মেধা ও শ্রম দিয়ে আবিষ্কার করেছেন বর্তমান যুগোপযোগী একটি ভিন্ন মাত্রার নতুন সার্কিট। পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট আজগরের নিজের দেওয়া নাম। আজগরের সঙ্গে কথা হয় ও তার নতুন আবিষ্কার সার্কিট দেখতে যাই আমরা কয়েকজন মিডিয়া কর্মী।

গতকাল ২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে ধাপেরহাট ইসলামপুর বি এম কলেজের একটি কক্ষে। দেখা হয় সেই অত্যাধনিক আবিস্কৃত পিসি কন্ট্রোলার যন্ত্রটির কাজ।

২০ বছরের বেকার যুবক আজগরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়স থেকেই সে মোবাইল ও কম্পিউটার মেরামতের কাজসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের কাজে অভ্যাস্ত। ব্যাক্তিগত জীবনে সে ইসলামপুর বি এম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ধাপেরহাট মনিকৃষ্ণসেন ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত আছে।

বাব-মা সহ ৩ ভাই ১ বোন নিয়ে তার সংসার। আজগর সবার ছোট। সাংসারিক অবস্থা খুব একটা ভাল না। তার নিজ মেধায় আবিষ্কার কৃত সার্কিটটি কম্পিউটারে লাগানো থাকলে তার হাতের ব্যবহৃত মুঠো ফোন দিয়ে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে মোবাইল এর মাধ্যমে ঐ কম্পিউটারটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যে কোন ব্যাক্তি এই সুবিধাটি নিতে পারবেন। আর্থিক সংকটের কারনে তার এ নতুন উদ্ভাবিত আবিষ্কারটি ব্যাপক প্রচার করতে পারছেন না।

গ্রামের আশে পাশের লোকজন মাঝে মধ্যেই সখের বসে দেখতে আসে তার এই নতুন আবিষ্কার। বর্তমানে এই ডিজিটাল বাংলাদেশে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে তার এ আবিষ্কারটি যুগোপযোগী। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাকে যদি সহযোগীতা করে তাহলে হয়তো বা তার এ নতুন আবিষ্কারটি সারা দেশে ব্যাপক সারাসহ আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।

আজগর আলী এ আশায় চালিয়ে যাচ্ছে তার মেধার প্রতিফলন। সব সময় ব্যস্ত থাকে কম্পিউটার আর মোবাইল নিয়ে। তার মনের ভবিষ্যৎ আশা ব্যক্ত করে বলে আমি আর্থিক সুবিধা পেলে আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে এ দেশের মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা বাঙ্গালী আমরাও মানুষ। আমাদেরও মেধা আছে। আমরাও হতে পারি নতুন কিছু আবিষ্কারের স্মৃতি ফলক।

এ বিষয়ে কথা হয় ধাপেরহাট ছফিরন নেছা আব্দুল শেখ মহিলা বি এম কলেজের অধ্যক্ষ ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সদস্য এম এস রহমানের সাথে তিনি জানান, ছেলেটি আমার প্রতিবেশি ছোট বেলা থেকেই তার কারিগরী প্রযুক্তির উপর মেধা দেখেছি। আর এই নতুন আবিষ্কারটি দেখে আমিও আশ্চার্য হয়েছি কথা বলা মোবাইল দিয়ে মিস কল দিলেই কম্পিউটারটি বন্ধ হয় এবং আবার মিস কল দিলেই চালু হয়। যা সত্যিই আশ্চর্য জনক। তার মেধার বিকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেকার যুবকের অবাক আবিষ্কার, মিসকলেই চালু হয় কম্পিউটার

আপডেট টাইম : ০৭:২৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলেয়ে এগিয়ে চলছে দেশ। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর নামক গ্রামে এবার পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট নামক একটি নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বকে অবাক করা আবিষ্কার করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানি আজগর।

এই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট ব্যবহার করে পৃথীবির যে কোন স্থান থেকে একটি কম্পিউটার কে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ওই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট নিজের কম্পিউটারে মাদার বোর্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করে মোবাইলের সিমের মাধ্যেমে বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে একটি কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

অবাক করা এই পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিটটি আবিষ্কার করেছেন সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার বেকার ছেলে আহসান হাবিব আজগর।

আজগর তার বুদ্ধি, মেধা ও শ্রম দিয়ে আবিষ্কার করেছেন বর্তমান যুগোপযোগী একটি ভিন্ন মাত্রার নতুন সার্কিট। পিসি পাওয়ার কন্ট্রোলার সার্কিট আজগরের নিজের দেওয়া নাম। আজগরের সঙ্গে কথা হয় ও তার নতুন আবিষ্কার সার্কিট দেখতে যাই আমরা কয়েকজন মিডিয়া কর্মী।

গতকাল ২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে ধাপেরহাট ইসলামপুর বি এম কলেজের একটি কক্ষে। দেখা হয় সেই অত্যাধনিক আবিস্কৃত পিসি কন্ট্রোলার যন্ত্রটির কাজ।

২০ বছরের বেকার যুবক আজগরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়স থেকেই সে মোবাইল ও কম্পিউটার মেরামতের কাজসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের কাজে অভ্যাস্ত। ব্যাক্তিগত জীবনে সে ইসলামপুর বি এম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ধাপেরহাট মনিকৃষ্ণসেন ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত আছে।

বাব-মা সহ ৩ ভাই ১ বোন নিয়ে তার সংসার। আজগর সবার ছোট। সাংসারিক অবস্থা খুব একটা ভাল না। তার নিজ মেধায় আবিষ্কার কৃত সার্কিটটি কম্পিউটারে লাগানো থাকলে তার হাতের ব্যবহৃত মুঠো ফোন দিয়ে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে মোবাইল এর মাধ্যমে ঐ কম্পিউটারটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যে কোন ব্যাক্তি এই সুবিধাটি নিতে পারবেন। আর্থিক সংকটের কারনে তার এ নতুন উদ্ভাবিত আবিষ্কারটি ব্যাপক প্রচার করতে পারছেন না।

গ্রামের আশে পাশের লোকজন মাঝে মধ্যেই সখের বসে দেখতে আসে তার এই নতুন আবিষ্কার। বর্তমানে এই ডিজিটাল বাংলাদেশে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে তার এ আবিষ্কারটি যুগোপযোগী। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাকে যদি সহযোগীতা করে তাহলে হয়তো বা তার এ নতুন আবিষ্কারটি সারা দেশে ব্যাপক সারাসহ আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।

আজগর আলী এ আশায় চালিয়ে যাচ্ছে তার মেধার প্রতিফলন। সব সময় ব্যস্ত থাকে কম্পিউটার আর মোবাইল নিয়ে। তার মনের ভবিষ্যৎ আশা ব্যক্ত করে বলে আমি আর্থিক সুবিধা পেলে আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে এ দেশের মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা বাঙ্গালী আমরাও মানুষ। আমাদেরও মেধা আছে। আমরাও হতে পারি নতুন কিছু আবিষ্কারের স্মৃতি ফলক।

এ বিষয়ে কথা হয় ধাপেরহাট ছফিরন নেছা আব্দুল শেখ মহিলা বি এম কলেজের অধ্যক্ষ ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সদস্য এম এস রহমানের সাথে তিনি জানান, ছেলেটি আমার প্রতিবেশি ছোট বেলা থেকেই তার কারিগরী প্রযুক্তির উপর মেধা দেখেছি। আর এই নতুন আবিষ্কারটি দেখে আমিও আশ্চার্য হয়েছি কথা বলা মোবাইল দিয়ে মিস কল দিলেই কম্পিউটারটি বন্ধ হয় এবং আবার মিস কল দিলেই চালু হয়। যা সত্যিই আশ্চর্য জনক। তার মেধার বিকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।