ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূর্যে ৭৫ হাজার মাইল গর্ত, সৌরঝড়ের আশঙ্কা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০১৭
  • ৩১৯ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গত সপ্তাহেই সূর্যে বিশালাকার একটি দাগ (স্পট) চিহ্নিত করেছিল নাসার সোলার ডায়নামিকস অবজার্ভেটেরি। রহস্যের জট খুলতে ওই দাগের ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল নাসা। অবশেষে রহস্যের জট খুলল। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানালেন, ওই দাগ আসলে সূর্যের গায়ে তৈরি হওয়া প্রায় ৭৫ হাজার মাইল দীর্ঘ একটা গর্ত।

মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায়, এআর ২৬৬৫ বা সূর্যে তৈরি হওয়া গর্তটি এতটাই বড় যে পৃথিবী থেকেও তার দেখা মিলবে। শুধু রহস্যের জটমুক্তি নয়, একই সঙ্গে আসন্ন বিপদের আশঙ্কাও করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কারণ, সৌরমুলুকে তৈরি হওয়া ওই গর্ত জন্ম দিতে পারে ভয়ানক সৌরঝড়ের, যা পৃথিবীর পক্ষে মোটেও মঙ্গলদায়ক নয়। এআর ২৬৬৫ থেকে তৈরি হওয়া সৌর বিকিরণ পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণরত যোগাযোগ রক্ষাকারী উপগ্রহগুলোকে তছনছ করে দিতে পারে। সেইসঙ্গে পৃথিবীর অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭৫ হাজার মাইল বা ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ওই গর্ত। এই ধরনের গর্ত সাধারণত সূর্যের পৃষ্ঠদেশে সৃষ্ট অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। সেখানকার তাপমাত্রাও অনেক কম। গর্তের ফলে ভয়ানক সৌর ঝড় তৈরি হতে পারে যার প্রভাবে পৃথিবীতে সুমেরু প্রভা দেখা দিতে পারে।

নাসা জানিয়েছে, গর্ত থেকে ‘এম ক্লাস’ সোলার ফ্লেয়ার বা শক্তিশালী সৌর বিকিরণ তৈরি হতে পারে, যার ফলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গা ঢেকে যাবে অন্ধকারে। এ ছাড়া রাডার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সূর্যে ৭৫ হাজার মাইল গর্ত, সৌরঝড়ের আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ১১:০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গত সপ্তাহেই সূর্যে বিশালাকার একটি দাগ (স্পট) চিহ্নিত করেছিল নাসার সোলার ডায়নামিকস অবজার্ভেটেরি। রহস্যের জট খুলতে ওই দাগের ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল নাসা। অবশেষে রহস্যের জট খুলল। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানালেন, ওই দাগ আসলে সূর্যের গায়ে তৈরি হওয়া প্রায় ৭৫ হাজার মাইল দীর্ঘ একটা গর্ত।

মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায়, এআর ২৬৬৫ বা সূর্যে তৈরি হওয়া গর্তটি এতটাই বড় যে পৃথিবী থেকেও তার দেখা মিলবে। শুধু রহস্যের জটমুক্তি নয়, একই সঙ্গে আসন্ন বিপদের আশঙ্কাও করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কারণ, সৌরমুলুকে তৈরি হওয়া ওই গর্ত জন্ম দিতে পারে ভয়ানক সৌরঝড়ের, যা পৃথিবীর পক্ষে মোটেও মঙ্গলদায়ক নয়। এআর ২৬৬৫ থেকে তৈরি হওয়া সৌর বিকিরণ পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণরত যোগাযোগ রক্ষাকারী উপগ্রহগুলোকে তছনছ করে দিতে পারে। সেইসঙ্গে পৃথিবীর অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭৫ হাজার মাইল বা ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ওই গর্ত। এই ধরনের গর্ত সাধারণত সূর্যের পৃষ্ঠদেশে সৃষ্ট অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। সেখানকার তাপমাত্রাও অনেক কম। গর্তের ফলে ভয়ানক সৌর ঝড় তৈরি হতে পারে যার প্রভাবে পৃথিবীতে সুমেরু প্রভা দেখা দিতে পারে।

নাসা জানিয়েছে, গর্ত থেকে ‘এম ক্লাস’ সোলার ফ্লেয়ার বা শক্তিশালী সৌর বিকিরণ তৈরি হতে পারে, যার ফলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গা ঢেকে যাবে অন্ধকারে। এ ছাড়া রাডার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।