ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭
  • ২৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সারা দেশে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে মা ও ছেলেসহ ছয়জন, মাগুরায় দুজন ও ঝালকাঠিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে থেকে দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

ফরিদপুর
ফরিদপুরের চারস্থানে বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আজ দুপুরে ১২টার দিকে জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে ঘরের বারান্দায় বসে থাকা মা হেলেনা আক্তার(৩৫) ও ছেলে হেলাল(১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর হেলেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাবা মৃত খবির মোল্লার বাড়িতে থাকত। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই গ্রামের পাটক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যায় ওই গ্রামের রহমান খানের ছেলে মিলন খান(৪৫)।

সালথা থানার ওসি একে এম আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবীরপুর খেয়াঘাটের টোল ঘরে আশ্রয় নেওয়া ওমর আলী(৪৫) নামে এক দিনমজুর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান

জানান, নাটোর জেলার দিনমজুর ওমর ওই গ্রামের কুদ্দুস পাট্টাদারের বাড়িতে কাজ করছিল। আজ দুপুর ১২টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হলে ওমর খেয়াঘাটের টোল ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল। সে সময় বজ্রপাত হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ ছাড়াও জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ছমির বেপারীরডাঙ্গি(হাজার বিঘা) গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে কাবিল বিশ্বাস(৪২) নামে এক দিনমজুর মারা যান। সে কুষ্টিয়া জেলার মাঝিরহাট এলাকার বাদল বিশ্বাসের ছেলে।

নিহত কাবিল ওই গ্রামের মোসলেম মিয়ার বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল।

ওই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বেলাল শেখ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

তা ছাড়াও প্রায় একই সময়ে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে বজ্রপাতে মিরাজ হোসেন(২১) নামে এক দিনমজুর মারা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার বাড়ি পাশের মাগুরা জেলায়।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে গত দুইদিনে বজ্রপাতে ফরিদপুরে মোট ১১ জন মারা গেছে। গতকাল রবিবার জেলার সদরপুরে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজন এবং সদর উপজেলায় এক দিনমজুর মারা যায়।

মাগুরা
মাগুরায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মাগুরা সদর উপজেলার মঘি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহেদ শেখের ছেলে আসাদ শেখ (৫০) ও একই উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের লিটু জোয়ার্দারের ছেলে কলম জোয়াদার (৪০)।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, তারা দুজনই বাড়ির নিকটবর্তী মাঠে কৃষি কাজ করছিল। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত আঘাত হানলে তারা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এলাকাবাসী তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার খাদৈক্ষীরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহির ওই গ্রামের মৃত গেরছে আলী হাওলাদারের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানায়, আজ দুপুরে বাড়ির পাশের ক্ষেতে আমনের বিজতলা তৈরির কাজ করছিলেন কৃষক জাকির হোসেন। এ সময় আবহাওয়া বিরূপ হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক জাকিরের মৃত্যু হয়।

সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তিন জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১০:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সারা দেশে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে মা ও ছেলেসহ ছয়জন, মাগুরায় দুজন ও ঝালকাঠিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে থেকে দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

ফরিদপুর
ফরিদপুরের চারস্থানে বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আজ দুপুরে ১২টার দিকে জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে ঘরের বারান্দায় বসে থাকা মা হেলেনা আক্তার(৩৫) ও ছেলে হেলাল(১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর হেলেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাবা মৃত খবির মোল্লার বাড়িতে থাকত। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই গ্রামের পাটক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যায় ওই গ্রামের রহমান খানের ছেলে মিলন খান(৪৫)।

সালথা থানার ওসি একে এম আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবীরপুর খেয়াঘাটের টোল ঘরে আশ্রয় নেওয়া ওমর আলী(৪৫) নামে এক দিনমজুর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান

জানান, নাটোর জেলার দিনমজুর ওমর ওই গ্রামের কুদ্দুস পাট্টাদারের বাড়িতে কাজ করছিল। আজ দুপুর ১২টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হলে ওমর খেয়াঘাটের টোল ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল। সে সময় বজ্রপাত হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ ছাড়াও জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ছমির বেপারীরডাঙ্গি(হাজার বিঘা) গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে কাবিল বিশ্বাস(৪২) নামে এক দিনমজুর মারা যান। সে কুষ্টিয়া জেলার মাঝিরহাট এলাকার বাদল বিশ্বাসের ছেলে।

নিহত কাবিল ওই গ্রামের মোসলেম মিয়ার বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল।

ওই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বেলাল শেখ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

তা ছাড়াও প্রায় একই সময়ে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে বজ্রপাতে মিরাজ হোসেন(২১) নামে এক দিনমজুর মারা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার বাড়ি পাশের মাগুরা জেলায়।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে গত দুইদিনে বজ্রপাতে ফরিদপুরে মোট ১১ জন মারা গেছে। গতকাল রবিবার জেলার সদরপুরে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজন এবং সদর উপজেলায় এক দিনমজুর মারা যায়।

মাগুরা
মাগুরায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মাগুরা সদর উপজেলার মঘি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহেদ শেখের ছেলে আসাদ শেখ (৫০) ও একই উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের লিটু জোয়ার্দারের ছেলে কলম জোয়াদার (৪০)।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, তারা দুজনই বাড়ির নিকটবর্তী মাঠে কৃষি কাজ করছিল। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত আঘাত হানলে তারা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এলাকাবাসী তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার খাদৈক্ষীরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহির ওই গ্রামের মৃত গেরছে আলী হাওলাদারের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানায়, আজ দুপুরে বাড়ির পাশের ক্ষেতে আমনের বিজতলা তৈরির কাজ করছিলেন কৃষক জাকির হোসেন। এ সময় আবহাওয়া বিরূপ হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক জাকিরের মৃত্যু হয়।

সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।