ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনে ঝুলন্ত সরকার হচ্ছে?

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
  • ৩১১ বার

কাল ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচন। মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণার সময় টোরি পার্টির সাথে লেবারের জনপ্রিয়তার ব্যবধান ছিলো ২৪ শতাংশ। গত এক মাসে নানা ঘটনা, প্রতিশ্রুতির মারপ্যাচে এই ব্যবধান কমে দাড়িয়েছে ১ শতাংশে! ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে লেবার লিডার জেরেমি করবিনের! তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশ জেরেমি করবিনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নির্বাচন বিশ্লেষকদের ধারণা, মূলধারার জরিপ সব জায়গাই ঝুলন্ত সরকারের কথা বলা হচ্ছে।

একই সাথে এই ঝুলন্ত সরকার লেবারকে সামনে রেখেই করা হবে বলেও বলছেন অনেকে। কার্যত ১ মাস আগে টেরিজা মে ড্রাইভিং সিটে বসে নির্বাচনের যে গাড়ি ছেড়েছিলেন নাম্বার ১০ ডাউনিং ষ্ট্রিটের দিকে, সময়ের ফেরে সেই গাড়ির চালকের আসনে এখন জেরেমি করবিন। তবে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে বৃহস্পতিবার ব্যালটের বাক্সে। শুক্রবার সকালই আসলে বলা যাবে ব্রিটেনের আগামী দিনের কান্ডারী কে হবেন।

লন্ডন ব্রিজের হামলার ধাক্কা সামলিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলগুলো। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় টোরি পার্টির প্রধান টেরিজা মে বলছেন, ব্রেক্সিট ব্রিটেনের জন্য প্রচুর চাকুরী, বাড়ি ও ভালো পরিবহন সুবিধা তৈরি করে দিবে। এজন্য বৃহস্পতিবার কনজারভেটিবকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা প্রয়োজন।

অপরদিকে লেবার লিডার করবিন বলছেন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে বাচাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় আছে। তিনি বৃহস্পতিবার লেবারকে ভোট দিয়ে সরকারে নিয়ে আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

অন্য প্রধান দল লিবারেল ডেমোক্রেট তাদের পুরোনো আসন ধরে রাখার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে আর ইউকিপ বলছে ব্রেক্সিটের পক্ষে না আসলে লিবডেমের কোন আশা নেই।

স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টি প্রধান নিকোলা সার্জেন নিজের অতীত বিভিন্ন কর্মকান্ডের আত্নসমর্থনের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড আলাদা হওয়ার দ্বিতীয় রেফারেন্ডামের প্রতি জোড় দিচ্ছেন।

গত শনিবার ব্রিটেনে লন্ডন ব্রিজ হামলায় ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হলে নির্বাচনী প্রচারণা থমকে যায় একদিনের জন্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তাতক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সন্ত্রাসবাদ এখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে! এরপর মঙ্গলবার আরেক বার্তায় তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দরকার হলে ব্রিটেনের মানবাধিকার আইনের পরিবর্তন করা হবে যাতে বর্তমান আইনের ফাক থাকার কারণে অনেক বিদেশী সন্ত্রাসীদের দেশ থেকে বের সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও সন্দেহভাজন অনেকের চলাফেরা নিয়ন্ত্রন করতে হলে এই আইনের পরিবর্তন জরুরী বলছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্রিটেনে ঝুলন্ত সরকার হচ্ছে?

আপডেট টাইম : ০৮:৫২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭

কাল ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচন। মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণার সময় টোরি পার্টির সাথে লেবারের জনপ্রিয়তার ব্যবধান ছিলো ২৪ শতাংশ। গত এক মাসে নানা ঘটনা, প্রতিশ্রুতির মারপ্যাচে এই ব্যবধান কমে দাড়িয়েছে ১ শতাংশে! ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে লেবার লিডার জেরেমি করবিনের! তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশ জেরেমি করবিনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নির্বাচন বিশ্লেষকদের ধারণা, মূলধারার জরিপ সব জায়গাই ঝুলন্ত সরকারের কথা বলা হচ্ছে।

একই সাথে এই ঝুলন্ত সরকার লেবারকে সামনে রেখেই করা হবে বলেও বলছেন অনেকে। কার্যত ১ মাস আগে টেরিজা মে ড্রাইভিং সিটে বসে নির্বাচনের যে গাড়ি ছেড়েছিলেন নাম্বার ১০ ডাউনিং ষ্ট্রিটের দিকে, সময়ের ফেরে সেই গাড়ির চালকের আসনে এখন জেরেমি করবিন। তবে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে বৃহস্পতিবার ব্যালটের বাক্সে। শুক্রবার সকালই আসলে বলা যাবে ব্রিটেনের আগামী দিনের কান্ডারী কে হবেন।

লন্ডন ব্রিজের হামলার ধাক্কা সামলিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলগুলো। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় টোরি পার্টির প্রধান টেরিজা মে বলছেন, ব্রেক্সিট ব্রিটেনের জন্য প্রচুর চাকুরী, বাড়ি ও ভালো পরিবহন সুবিধা তৈরি করে দিবে। এজন্য বৃহস্পতিবার কনজারভেটিবকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা প্রয়োজন।

অপরদিকে লেবার লিডার করবিন বলছেন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে বাচাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় আছে। তিনি বৃহস্পতিবার লেবারকে ভোট দিয়ে সরকারে নিয়ে আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

অন্য প্রধান দল লিবারেল ডেমোক্রেট তাদের পুরোনো আসন ধরে রাখার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে আর ইউকিপ বলছে ব্রেক্সিটের পক্ষে না আসলে লিবডেমের কোন আশা নেই।

স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টি প্রধান নিকোলা সার্জেন নিজের অতীত বিভিন্ন কর্মকান্ডের আত্নসমর্থনের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড আলাদা হওয়ার দ্বিতীয় রেফারেন্ডামের প্রতি জোড় দিচ্ছেন।

গত শনিবার ব্রিটেনে লন্ডন ব্রিজ হামলায় ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হলে নির্বাচনী প্রচারণা থমকে যায় একদিনের জন্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তাতক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সন্ত্রাসবাদ এখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে! এরপর মঙ্গলবার আরেক বার্তায় তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দরকার হলে ব্রিটেনের মানবাধিকার আইনের পরিবর্তন করা হবে যাতে বর্তমান আইনের ফাক থাকার কারণে অনেক বিদেশী সন্ত্রাসীদের দেশ থেকে বের সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও সন্দেহভাজন অনেকের চলাফেরা নিয়ন্ত্রন করতে হলে এই আইনের পরিবর্তন জরুরী বলছেন তিনি।