অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেডিসি পরীক্ষা) শুরু হবে ১ নভেম্বর।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সভায় বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত ও প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের প্রত্যেকের ছবি, মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর, বাসার অন্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নম্বর ইত্যাদি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময় প্রতিদিন বিজি প্রেসের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনা করা হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজবে লাইক-শেয়ার করলেও শাস্তি
এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ালে বা এসব স্থানে লাইক বা শেয়ার করলে আইসিটি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর হওয়ার আগে থেকেই সারা দেশের কোচিং সেন্টার, ফটোকপি দোকানে নজরদারি রাখা হবে।’
যে সব ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন বা পরীক্ষা শুরু হবার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র খুলে মোবাইলে ফটো তুলে ফেসবুক বা হোয়াটসআপে তুলে দেন তাদের মহান শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে চোরের পেশায় নাম লেখাতে পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এবার এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা সচিব অরুনা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রাখাল চন্দ্র বর্মন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহকারী পরিচালক ইশতিয়াক আরিফ, বিজি প্রেসের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।