রেইনট্রি হোটেল চলছে অবৈধভাবে: ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজউক

আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যবহারের অভিযোগে গত মাসেই আলোচিত রেইনট্রি হোটেলটি সিলগালা করেছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরপরও অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলছিল জানিয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজউক সূত্র জানায়, বনানীর আলোচিত রেইনট্রি হোটেলটি গত ৯ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এর কয়েক মাস আগে থেকেই কার্যক্রম চলছিল। রাজউকের মানচিত্রে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ এবং ১১ নম্বর সড়ক দুটি বাণিজ্যিক এলাকা। ওই দুটি সড়কে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলেও রাজউকের সম্পত্তি বিভাগে নির্ধারিত রূপান্তর ফি জমা দিতে হয়। এই দুটি সড়ক ছাড়া বনানীর বাকি সব সড়ক আবাসিক শ্রেণির। এসব এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা অবৈধ। রেইনট্রি হোটেল পড়েছে ওই এলাকায়। অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় গত ১৫ এপ্রিল রেইনট্রি হোটেল সিলগালা করে দিয়েছিলেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিন প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুত্ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনের অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার অলিউর রহমান এ প্রসঙ্গে জানান, হোটেলটি রাজউকের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা চালাচ্ছিল। আবাসিক এলাকায় যদি কেউ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তা অবৈধ। তারা সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করার অনুমোদন নেয়নি, অনুমতিও নেয়নি। সেজন্য আমরা সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এসেছিলাম। রাজউকের অঞ্চল-৪-এর অথরাইজড অফিসার আদিলুজ্জামান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করে দিয়ে আসার পর রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তা খুলে আবার কার্যক্রম শুরু করে। তিনি জানান, ওই হোটেলটি অবৈধ। তারা আমাদের অনুমোদন ছাড়াই হোটেলের কাজ করছিল। আমরা সিলগালা করে দিয়ে এসেছিলাম, তারা নিজেরা খুলে ফেলেছে। তবে রেইনট্রি হোটেলের একটি সূত্র জানায়, সিলগালা করার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়ে রাজউকের পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর হোটেলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজউকের আইন শাখার পরিচালক রোকন-উদ-দৌলা জানান, উচ্চ আদালত সিলগালা খোলার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করার কথা রাজউকের। কর্তৃপক্ষ এটা করতে পারে না। এ বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় রেইনট্রি হোটেলটি। বনানীতে আবাসিক এলাকায় কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়িতে নিয়ম ভেঙে হোটেলটি চালানোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সাংসদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর