হাওর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন

হাওর হল দেশের অন্যতম খাদ্যশস্যের আধার। দেশের এ বিরাট অংশ বাদ দিয়ে সারাদেশের উন্নয়ন ভাবাই যায় না। এ অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নের ওপর নির্ভর করেই সেখানকার খাদ্য নিরাপত্তাসহ সারাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট অবদান রাখে। দেশের এ অঞ্চলটির মূল কৃষির উন্নতির সঙ্গেই দেশজ কৃষির উন্নতি অনেকাংশে নির্ভর করে। সেখানকার সারাবছরের একটিমাত্র বোরো ফসলই কৃষকগণ তাদের সর্বস্ব দিয়ে উত্পাদনে বিনিয়োগ করে থাকে। সেই বিনিয়োগে যেমন থাকে আনন্দ, তেমনি থাকে হাহাকারও। তেমনি একটি হাহাকারের মধ্য দিয়ে এখন পার করতে হচ্ছে তাদের। সময় যাচ্ছে আর আবহাওয়া, জলবায়ু, পরিবেশ ইত্যাদি দিনকে দিন বিরূপ আচরণ করছে। এর সর্বশেষ নজির হল সাম্প্রতিক হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ বিপর্যয় যে শুধু এখন হাওরেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশময়। মাসাধিককাল ধরে প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে খবর আসছে সারাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের। কিন্তু এখন যে সময়ে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর আসছে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন নয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে এর সময় ও তীব্রতা নিয়ে। আমরা জানি গত ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখ থেকে হাওরাঞ্চলে যে উজানের পাহাড়ি ঢল শুরু হয়েছিল তার তীব্রতায় মাসাবধি আগাম বন্যায় ফসল, মাছ, হাঁস, ব্যাঙ, গবাদি পশুসহ প্রাণিকুলের যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা আমরা সকলেই বিগত কিছুদিনে উপলব্ধি করতে পারছি। অপরদিকে দেশজুড়েই শুরু হয়েছে এবার আগাম অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা। সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী কিংবা টর্নেডো তো রয়েছেই। দেশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানির নিচে চলে যাওয়ায় সেসব স্থানে বর্তমানে মাঠে থাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য সকল ধরনের কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ধান আবাদের প্রায় ৮০ শতাংশ জুড়ে থাকা বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই পূরণযোগ্য নয়। এখন কথা উঠেছে যে এবারের বোরো আবাদের উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি না। কারণ সারাদেশে প্রায় বোরোতে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টন ধান ফসল উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিণ করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে হাওরাঞ্চলে প্রায় দুই লক্ষাধিক হেক্টর জমির বোরো ধানের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগই বিনষ্ট হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টন ধান এবং সেই পরিমাণ টাকার অঙ্কে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের উত্তরাঞ্চলে চলনবিলসহ অন্যান্য নিম্নাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চলসহ সারাদেশেই আরও প্রায় সমপরিমাণ বোরো ধানের ক্ষতির খবরও গণমাধ্যমে হরহামেশাই প্রকাশিত হয়ে চলেছে। তাছাড়া এ সময়ে কৃষি ফসলের মধ্যে কাঁচা মরিচ, বেগুন, কুমড়া, করলা, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, শসা, বরবটি ইত্যাদি সবজি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে এ আগাম বৃষ্টিজনিত বন্যা ও ঝড়-ঝঞ্ঝা। আসন্ন রমজান মাসে এসব ফসলের কম উত্পাদনের কারণে তাদের দামের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে রমজানের নিত্যপণ্য হিসেবে দাম বাড়তে পারে কাঁচা মরিচ, শসা, বেগুন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সবজি ফসলের দামের ওপর। ইতোমধ্যে সব ধরনের ধান এবং চালের মূলের ওপর এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রকারান্তরে এগুলো জনস্বার্থ পরিপন্থী হতে বাধ্য। অথচ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছরই এমনভাবে দেখা যায় না। আমরা যখন পরিবেশ পরিবেশ কিংবা জলবায়ু জলবায়ু করে চিত্কার করি তখন সেটাকে কেউই পাত্তা দিতে চায় না। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণীই এক্ষেত্রে সত্যি হতে চলেছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় শীতে শীত থাকছে না, গরমে গরম থাকছে না, বর্ষাকালে বৃষ্টি থাকছে না, কখনও অতি গরম আবার কখনও বা অতি শীত আবার বর্ষা শুরু হতে না হতেই উচ্চশব্দে বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে, যা আগে কখনই তেমন দেখা যেত না। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এখন আসলে তাই হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এবারে হাওরাঞ্চলে যে আগাম বন্যায় ক্ষতি হয়েছে তা বিগত ১২০ বছরে দেখা যায়নি। অপরদিকে সারাদেশে যে বজ্রপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা বিগত প্রায় তিন দশকে দেখা যায়নি। কিন্তু এসব এখন হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ হল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। যদিও দুর্যোগ ঘটে যাওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনসহ (বিএনএফ) অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা তাদের যার যার সাধ্যমতো সেসব হাওরের দুর্গত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক তাদের কৃষিঋণ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঋণের সুদ মওকুফ করে দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হতো যদি পরিবেশ দূষণ কমিয়ে এসব দুর্যোগের হাত থেকে আগেই জানমালের রক্ষা করা যেত। বলতে গেলে এসবের সৃষ্টি করছি আমরা নিজেরাই। কারণ ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন আধুনিক জীবনযাপনের উপজাত হিসেবেই সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশ ধ্বংসকারী বিভিন্ন পরিবেশ বিপর্যয়কর বস্তু। যেমন পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার, গাছপালা না লাগিয়ে শুধু কর্তন, শোধন না করে শিল্প কারখানার বর্জ্য অপসারণ, বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি, পানির স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করা, নদ-নদী ভরাট করে স্রোতধারা পরিবর্তন, অবৈজ্ঞানিক ইটভাটা স্থাপনসহ অনেক কিছু। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। তবে অভিযোজনের মাধ্যমে তা সঙ্কোচনের চেষ্টা করার সুযোগ রয়েছে। এখন একটি সুন্দর আগামীর জন্য সেদিকেই আমাদের হাঁটতে হবে। এসব আগাম বন্যা পুষিয়ে নিয়ে কিছুটা হালে পানি দেওয়ার জন্য হলেও সরকার তাদের ব্যাপকভিত্তিক পুনর্বাসন কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সংস্থাকে তাদের সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে সরকার। তাত্ক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ টাকা ও খাদ্য হিসেবে চাল। সেইসঙ্গে হাঁস-মাছসহ অন্যান্য গবাদি পশুর যাতে আর কোনো মড়ক বা তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা না হয় সেজন্য স্ব-স্ব সরকারি বিভাগসমূহ মাঠপর্যায়ে পুনর্বাসনের কাজ করছে। ইতোমধ্যে হাওরের এসব বন্যাদুর্গত মানুষের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য প্রথমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাওরের মানুষ মো. আবদুল হামিদ গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজকর্মী, সংসদ সদস্য, মন্ত্রীগণ তাদের হাতে থাকা সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে গেছেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সর্বশেষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গত এলাকা স্বচক্ষে দেখার জন্য মৌলভীবাজার পরিদর্শন করেছেন। সেখানে হাওরের জন্য আগামীদিনে সরকারের মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি নিজের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কিছু ত্রাণ বিতরণ করেন। তবে তিনি সেখানে বর্তমান উন্নয়ন পরিকল্পনায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয়ে তার অসন্তুষ্টির কথা জানান। তবে সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। এরই মধ্যে হাওরের সমস্যা সমাধানের বিষয়টি এখন শুধু আলোচনার টেবিলে না রেখে কেমন করে ভবিষ্যতে একটি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত রাখছেন। কারণ হাওরের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। এখন যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে প্রকৃতিতে দেখা দিচ্ছে। সেজন্য একে মাথায় নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি রাখে। কারণ যে অবস্থা বিগত ১২০ বছরে দেখা যায়নি, তা এবার দেখা দিয়েছে। এবং এবারের পরে আর হবে না, এমন গ্যারান্টি এখন আর কেউ দিতে পারছেন না। মাঝেমধ্যেই এমন দুর্যোগের সম্মুখীন হতে পারে। সেজন্য সেভাবেই পরিকল্পনা রেখে অভিযোজনের কাজটি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবে আশার কথা, ইতিপূর্বে আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্রাইসিস সম্মিলিত উদ্যোগে অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা নিরসন, দক্ষিণের উপকূলবর্তী লবণাক্ততা নিরসন, খরা ও বন্যা সহনশীলতা সহ্যকারী ফসল উত্পাদন, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলা কিংবা সিডরের পরে সেগুলো একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। সেগুলোর অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে হাওরের জন্য উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করলে সার্বিক উন্নতিতে পৌঁছাতে বেগ পেতে হবে না। বাংলাদেশ নিজেই একটি বড় বদ্বীপ। আর সেই বদ্বীপের একটি বিরাট অংশ হল এ হাওর এলাকা। কাজেই আন্তর্জাতিকভাবে আগামী ১০০ বছরের যে বদ্বীপ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ রয়েছে সেখানে হাওরের এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন, বাঁধ নির্মাণ, নদীখনন, সৌন্দর্য বর্ধন, কৃষি ফসল, মাছ, গবাদি পশু, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বার্ষিক বাজেট, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তারপরও এ মুহূর্তে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা দরকার বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। কারণ তারা মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনই অকাল বন্যার মূল কারণ। জলবায়ু পরিবর্তন যে শুধু বৈশ্বিক কারণে হচ্ছে, সেজন্য একচেটিয়াভাবে বিদেশিদেরকে দোষারোপ করলে চলবে না। কিছুটা দায় নিজেদেরও নিয়ে সে মোতাবেক সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সেখানে সময়মতো পুরাতন বাঁধগুলো মেরামত ও নতুন বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া বর্ষার সময় বাঁধ নির্মাণে অহেতুক সময় ও অর্থ নষ্ট না করে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি বড়জোর মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সেগুলো শেষ করা প্রয়োজন। পানির সুষ্ঠু পরিচলনের জন্য জন্য শুধু বাঁধ নির্মাণ করলেই চলবে না। সেখানে অতিরিক্ত পানি বের করার জন্য প্রয়োজনে সুযোগ ও সময়ে বাঁধ কেটেও দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কাজটি করতে হবে ফসল তোলার ক্ষেত্রে। এপ্রিল-মে মাসের দুর্যোগ দেখা দেওয়ার পূর্বেই ধান ফসল ঘরে তুলতে হবে। সেটার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব হল কৃষিবিজ্ঞানীদের। কারণ নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে যেভাবে অন্যান্য দুর্যোগের সহনশীল ফসলের জাত আবিষ্কার করেছেন; এখন শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভর না করে ভাসমান পদ্ধতিতে শাকসবজি, ডাল, তেল, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। তেমনিভাবে হাওরের জন্য উচ্চ ফলনশীল স্বল্পদিনে হয় এবং আগাম জাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যা নিয়ে কৃষিবিজ্ঞানীগণ কাজ করছেন। এভাবেই সকলের সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। লেখক : কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর