ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

প্রেসিডেন্ট জিয়া বললেন, এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০১৫
  • ৪১৯ বার

জিয়াউর রহমান নিজে ছোট গাড়িতে উঠতেন। যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন তাতে এয়ারকন্ডিশন ছিল না, এটা তেমন কোন দামি গাড়িও ছিল না। তাঁর নিরাপত্তার জন্য আজকের মতো আগে-পিছে, ডানে-বামে দামি গাড়ির বহর ছিল না। খুবই সাধারণ। সামনে একটি পুুলিশের গাড়ি থাকত। একজন সার্জেন্ট আর তার সাথে কিছু পুলিশ।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেব মন্ত্রীদের বলেছিলেন, আপনারা কখনও সিগন্যাল অমান্য করবেন না, আইন কানুন মেনে চলবেন। একবারের একটি কথা মনে আছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা হলেন। এডিসি সাহেব মারসিডিজ গাড়ি পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সাহেব গার্ড অব অনার নিয়ে ফিরে এসেই দেখেন যে সেখান মারসিডিজ গাড়ি প্লেস করা আছে। এটা দেখে তিনি এডিসি সাহেবের ওপর চটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে? এডিসি সাহেব বললেন, এমএসপি সাহেব পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া রাগান্বিত হয়ে তার বেতনের টাকা থেকে গাড়ির তেলের টাকা কেটে রাখার নির্দেশ দিলেন। পরে তিনি ডিসি সাহেবকে তার গাড়িটি প্লেস করার কথা বললেন এবং ফেরিঘাটের রাস্তাটি দেখার জন্য ডিসি সাহেবের সেই ছোট গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব কেবিনেট মিটিংয়ে মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেখেন আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। আমার দেশ খুবই গরিব দেশ। পৃথিবীর সবাই তা জানে। আমাকে সি অফ করার জন্য বা রিসিভ করার জন্য এতোগুলো লোক এবং এতো গাড়ি বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার দরকার হয় না। এসব অপব্যয় বিদেশিরা দেখেন এবং তারা মনে করেন তাদের পয়সা দিয়ে এসব অপব্যয় করা হচ্ছে। রাত্রিবেলা আপনারা যখন আমাকে রিসিভ করে ফিরেন তখন মনে হয় যেন বিমানবন্দরে আগুন লেগে গেছে। সব লোক পালাচ্ছে। গাড়ির বহর একসাথে বের হচ্ছে। সুতরাং এখন থেকে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহেব যাবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান কাজলকে পাঠানো হলো থাইল্যান্ডে, বিমানে তুলে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রেসিডেন্ট জিয়া বললেন, এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০১৫

জিয়াউর রহমান নিজে ছোট গাড়িতে উঠতেন। যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন তাতে এয়ারকন্ডিশন ছিল না, এটা তেমন কোন দামি গাড়িও ছিল না। তাঁর নিরাপত্তার জন্য আজকের মতো আগে-পিছে, ডানে-বামে দামি গাড়ির বহর ছিল না। খুবই সাধারণ। সামনে একটি পুুলিশের গাড়ি থাকত। একজন সার্জেন্ট আর তার সাথে কিছু পুলিশ।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেব মন্ত্রীদের বলেছিলেন, আপনারা কখনও সিগন্যাল অমান্য করবেন না, আইন কানুন মেনে চলবেন। একবারের একটি কথা মনে আছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা হলেন। এডিসি সাহেব মারসিডিজ গাড়ি পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সাহেব গার্ড অব অনার নিয়ে ফিরে এসেই দেখেন যে সেখান মারসিডিজ গাড়ি প্লেস করা আছে। এটা দেখে তিনি এডিসি সাহেবের ওপর চটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে? এডিসি সাহেব বললেন, এমএসপি সাহেব পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া রাগান্বিত হয়ে তার বেতনের টাকা থেকে গাড়ির তেলের টাকা কেটে রাখার নির্দেশ দিলেন। পরে তিনি ডিসি সাহেবকে তার গাড়িটি প্লেস করার কথা বললেন এবং ফেরিঘাটের রাস্তাটি দেখার জন্য ডিসি সাহেবের সেই ছোট গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব কেবিনেট মিটিংয়ে মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেখেন আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। আমার দেশ খুবই গরিব দেশ। পৃথিবীর সবাই তা জানে। আমাকে সি অফ করার জন্য বা রিসিভ করার জন্য এতোগুলো লোক এবং এতো গাড়ি বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার দরকার হয় না। এসব অপব্যয় বিদেশিরা দেখেন এবং তারা মনে করেন তাদের পয়সা দিয়ে এসব অপব্যয় করা হচ্ছে। রাত্রিবেলা আপনারা যখন আমাকে রিসিভ করে ফিরেন তখন মনে হয় যেন বিমানবন্দরে আগুন লেগে গেছে। সব লোক পালাচ্ছে। গাড়ির বহর একসাথে বের হচ্ছে। সুতরাং এখন থেকে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহেব যাবেন।