ভারতকে ৪০০-৪৫০ রানে আটকাতে চায় বাংলাদেশ

প্রথম দিনে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান তুলে ফেলেছে। অথচ এই ভারতকে চারশ সাড়ে চারশ রানে বেঁধে ফেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ! এটা কী করে সম্ভব?

কোনো কিছুই অসম্ভব নয় ক্রিকেটে। হয়তো এই সত্য বিশ্বাস করেই দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলে ফেললেন তরুণ ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ।

টেস্টে প্রতি দিনের খেলা শেষে দুই দলের একজন করে প্রতিনিধি সাধারণত প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন। দিনের সেরা পারফর্মারকেই সাধারণত পাঠানো হয়ে থাকে। প্রথম দিনে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার কে? উত্তর হতে পারে- কেউ নন। মানে কোনো বোলারই প্রশংসা পাওয়ার মতো বল করেননি।

তারপরেও প্রেস বি্রিফিংয়ে পাঠানো হয় তাসকিন আহমেদকে।কারণ শুরুতেই তিনি উইকেট নিয়ে ভারতকে ধাক্কা দিয়েছিলেন।

জাতীয় দলে অনেক দিন ধরে ওয়ানডে খেললেও তাসকিনের টেস্ট অভিজ্ঞতা মাস খানেকের। তাই পাঁচ

দিনের ক্রিকেটের মেজাজ, গতি ইত্যাদি অনেক কিছুই তার সেভাবে ব্যাখ্যা করতে পারার কথা নয়। সংবাদ সম্মেলনে সেটা স্পষ্ট ফুটে উঠলো তাসকিনের কথায়।

কোহলি অপরাজিত ১১১, রাহানে ৪৫ রানে। ভালো ব্যাট করতে জানেন, এরকম আরো আছেন তিন জন। প্রথম ইনিংসে ভারত নিশ্চয়ই ৫০০-৬০০ রান করার টার্গেট করেছে। অথচ এই ভারতকে ৪০০-৪৫০ রানে বেঁধে ফেরতে চান তাসকিন।

এই অসম্ভব পরিকল্পনার ব্যাখা এভাবে দিলেন সুদর্শন ফাস্ট বোলার,‘ ব্যাট করার জন্য এটা আসলে অনেক ভালো উইকেট। তবু আমরা ওদের যদি ৪০০-৪৫০ এর মধ্যে আটকাতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। এজন্য কাল সকালে আমাদের ভালো বল করতে হবে।’

শুরুটা দারুণ হলেও দিন শেষ হলো হতাশায়। কেমন এমন হলো? তাসকিন বললেন,‘আসলে আমরা প্রতিটা মুহূর্তেই অনেক চেষ্টায় ছিলাম। আমাদের চেষ্টা ভালো ছিল। কারণ ৯০ ওভারে সাড়ে তিনশ (৩৫৬) হয়েছে যা সাড়ে চারশও হতে পারতো। আবার আমরা বোলাররাও কিন্তু খারাপ বল করিনি। আর উইকেট সহজ। ৩০০ হলে আরও খুব ভালো হতো। কারণ আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। এখন যেহেতু হয়ে গেছে। কাল নতুন দিন। চেষ্টা করব ভালো করতে।’

তাসকিন ও রাব্বি মিলে প্রচুর শর্ট বল করলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলা সম্ভব হয়নি। উল্টো রান দিয়েছেন ভুরিভুরি। শর্ট বল নিয়ে তাসকিন বলেন,‘যেগুলো হাফ শর্ট ছিলে সেগুলো ওরা ভালো খেলেছে। লাঞ্চের পর শর্ট বল অনেক স্লো হয়ে গেছে। তার কারণে আরও সহজভাবে পিক করেছে ওরা।

কিন্তু প্রথম দিকে আমি এবং রাব্বি যে বাউন্সারগুলো করেছি সেগুলো ভালো ছিল। পরের দিকে স্লো হওয়ার কারণে যে গুলো হাফ পড়েছে ওগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। শর্ট বলও আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রয়োগটা আরও একটু ভালো হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর