ধন্যবাদ পেতেই পারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস কারো অজানা নয়। দীর্ঘ ৬৯ বছর পেরিয়ে ছাত্রসংগঠনটি উপমহাদেশ নয়; বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনে রূপ নিয়েছে। জাতির মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আজ এমন এক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখান থেকে দেশের সব ক্রান্তিলগ্নে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে, দেশ গড়ার কাজও করে যাচ্ছে। বির্তকও কখনো পিছু ছাড়েনি ছাত্রলীগের। তবে গুটি কয়েক নেতাকর্মী বা অনুপ্রবেশকারীদের কারণে পুরো ছাত্রলীগকে বির্তকিত করার সুযোগ নেই।

আগেই বলে নিচ্ছি, আমি সরাসারি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। পেশাদার একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বন্ধু হিসেবে পেয়েছি ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কিছু কর্মীকে। যারা নেতৃত্বেও এসেছেন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে থেকেই রাষ্ট্রভাষার দাবিতে সোচ্চার ছিল সংগঠনটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীকার আদায়ের সব সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অবদান অনন্য সাধারণ। সর্বশেষ ওয়ান-ইলেভেনের সময় সেনাশাসকদের নিয়ন্ত্রণাধীন তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন হয়েছিল, সে আন্দোলনেও নেতৃত্বে দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সেই থেকে শুরু। আমি উত্তাল ৯০ দেখিনি, দেখেছি ওয়ান-ইলেভের আন্দোলন সংগ্রাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম সেদিন। টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করে মিছিল করেছি। গায়ের শার্ট নাকে বেধে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি।

উৎপলএরপর সাংবাদিকতায় চলে আসায় আর কখনো সরাসরি ছাত্র রাজনীতি করা হয়নি। তবে বন্ধুরা রাজনীতি চালিয়ে গেছে। ওদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল বলেই খুব কাছ থেকে দেখেছি ছাত্রলীগকে। সেই অধিকারের জায়গা থেকে আজ লিখতে বসেছি। লেখার উদ্দেশ্য একটাই-বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দেয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নটরডেম কলেজের বন্ধু আপেল মাহমুদ সবুজের নামটা প্রথমে উল্লেখ করছি এই কারণে, ওর মাধ্যমেই ছাত্রলীগকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, আল আমিন, মনির হোসেন, সুপ্রিয় কুণ্ডু রাজেশ থেকে শুরু করে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ আরো অনেকেই আমার খুব কাছের বন্ধু। ওদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। কতটা নিবেদিত প্রাণ নিয়ে ওরা ছাত্রলীগ করে।

ধন্যবাদ দিতে চাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে। তাদের কমিটি মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছে কর্মদিবসে আর কোনো সভা-সমাবেশ করবে না। শুক্রবার অথবা শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মসূচি দিতে চায়। এ ঘোষণায় আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলতে পারি, বিষয়টা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই যানজটের নগরীতে একটু হলেও ভোগান্তি কমানোর যে উদ্যোগটি ছাত্রলীগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিবার। এটা বাস্তবায়ন হলেই সারাদেশের মানুষ অনেক বেশি আনন্দিত হবে। ফলে, অবশ্যই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধন্যবাদ পেতেই পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর