ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গঙ্গাচড়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০১৫
  • ৩৪৭ বার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। কৃষক নিজেই বাজারে বিক্রি করছে। অনেকে আবার খণ্ডকালীন ব্যবসায়ীর কাছে গাছেই কাঁঠাল বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রির তুলনায় কমে বিক্রি করায় কৃষক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাজারে বিক্রির মূল্য পার্থক্য হয় না, ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের পছন্দমতো কাঁঠাল ন্যায্য দামে কিনতে পারছে। পবিত্র রমজান ও গরমের কারণে কয়েকদিনের চেয়ে বিক্রি কম হচ্ছে বলে বাজারে আসা কাঁঠাল বিক্রেতারা জানান। কাঁঠালের ছোট-বড় হিসেবে ১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। গঙ্গাচড়া বাজারে ২০ টাকায় ১টি কাঁঠাল কিনেছেন সামিউল, রাজ্জাক ৩৫ টাকায় এবং বড় আকারের ১টি ৫৫ টাকায় কাঁঠাল কিনেছেন মানিক মিয়া। তারা জানান, তাদের পছন্দমতো কাঁঠাল সাধ্যের মধ্যে কিনতে পেরেছেন। ব্যবসায়ী রাজা মিয়া বলেন, তিনি দক্ষিণ কোলকোন্দের নয়া মিয়ার ৩টি কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল গাছে ২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন, যা পর্যায়ক্রমে বিক্রি করে ৫ হাজার টাকার বেশি পাবেন। গঙ্গাচড়া কুঠিপাড়া গ্রামের আবদুল বারী বাবু জানান, তিনি গত বছর ১ হাজার ৫শ’ টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। এবার কাঁঠালের ফলন ভাল হওয়ায় বেশি লাভবান হবেন। কাঁঠাল জাতীয় ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় গ্রামে এর অনেক কদর। অনেকে কাঁঠাল দিয়ে পান্তাভাত খান, আবার এর বিচি কেউ রান্না, ভর্তা, ডালসহ বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁঠাল গাছে থোকা থোকা কাঁঠাল শোভা পাচ্ছে। জাতীয় ও সুস্বাদু ফল দেখলেই সকলের মন জুড়ায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাঁঠাল একটি সুস্বাদু ও লাভজনক ফল। কাঁঠাল চাষে অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আশেপাশেই জমিতে কাঁঠালের চারা রোপণ করলে ৪-৫ বছরের মধ্যে এর ফল পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গঙ্গাচড়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০১৫

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। কৃষক নিজেই বাজারে বিক্রি করছে। অনেকে আবার খণ্ডকালীন ব্যবসায়ীর কাছে গাছেই কাঁঠাল বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রির তুলনায় কমে বিক্রি করায় কৃষক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাজারে বিক্রির মূল্য পার্থক্য হয় না, ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের পছন্দমতো কাঁঠাল ন্যায্য দামে কিনতে পারছে। পবিত্র রমজান ও গরমের কারণে কয়েকদিনের চেয়ে বিক্রি কম হচ্ছে বলে বাজারে আসা কাঁঠাল বিক্রেতারা জানান। কাঁঠালের ছোট-বড় হিসেবে ১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। গঙ্গাচড়া বাজারে ২০ টাকায় ১টি কাঁঠাল কিনেছেন সামিউল, রাজ্জাক ৩৫ টাকায় এবং বড় আকারের ১টি ৫৫ টাকায় কাঁঠাল কিনেছেন মানিক মিয়া। তারা জানান, তাদের পছন্দমতো কাঁঠাল সাধ্যের মধ্যে কিনতে পেরেছেন। ব্যবসায়ী রাজা মিয়া বলেন, তিনি দক্ষিণ কোলকোন্দের নয়া মিয়ার ৩টি কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল গাছে ২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন, যা পর্যায়ক্রমে বিক্রি করে ৫ হাজার টাকার বেশি পাবেন। গঙ্গাচড়া কুঠিপাড়া গ্রামের আবদুল বারী বাবু জানান, তিনি গত বছর ১ হাজার ৫শ’ টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। এবার কাঁঠালের ফলন ভাল হওয়ায় বেশি লাভবান হবেন। কাঁঠাল জাতীয় ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় গ্রামে এর অনেক কদর। অনেকে কাঁঠাল দিয়ে পান্তাভাত খান, আবার এর বিচি কেউ রান্না, ভর্তা, ডালসহ বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁঠাল গাছে থোকা থোকা কাঁঠাল শোভা পাচ্ছে। জাতীয় ও সুস্বাদু ফল দেখলেই সকলের মন জুড়ায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাঁঠাল একটি সুস্বাদু ও লাভজনক ফল। কাঁঠাল চাষে অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আশেপাশেই জমিতে কাঁঠালের চারা রোপণ করলে ৪-৫ বছরের মধ্যে এর ফল পাওয়া যায়।