সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে উত্থাপন করার আশ্বাস দিয়েছেন পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি রুস্তম আলী ফারাজি ও সিলেট-৫ আসনের এমপি সেলিম উদ্দিন। রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তারা এ কথা জানান।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’ সেমিনারটির আয়োজন করে। সেমিনারে উভয় সাংসদই চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সাথে আলাপ করার আশ্বাস দেন।
রুস্তম আলী ফারাজি বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব তাদের জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমা রেখা নির্দিষ্ট করে রাখেনি। ওইসব দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৪০ বছর।’
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব কামাল আতাউর রহমান।
ড. মিল্টন বিশ্বাস চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে যুবকদের সুযোগ দিতে হবে। উচ্চ শিক্ষা শেষ করতে ২৭/২৮ বছর লেগে যাওয়ায় অনেক ছাত্রই তাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পাচ্ছেন না। এতে করে যুবকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে।’ তাই তিনি অবিলম্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
প্রফেসর কামাল আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষক হিসেবে ভাল করেই ছাত্রদের মনের কথা বুঝতে পারি। তারা সীমাবদ্ধ সুযোগের জন্য বেকারত্বের অভিশপ্ত জীবন কাটাচ্ছে। তারা এ থেকে মুক্তি চায়, তারা সুযোগ চায়, পরীক্ষা দিতে চায়। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘খাতা কলমে ২৩ বছরে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার নিয়ম আছে। সে হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের জন্য একজন ছাত্রর ৭ বছর সময় পাওয়ার কথা। তাদের এই ৭টি বছর সময় আপনারা দিয়ে দেন তারা আপনাদের কাছে আর কিছু চাইবে না।’