নির্বাচন কমিশনের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন এবং ভবনের সামনে একটি ‘লালপাতা’ গাছের চারা রোপণ করেন। পরে ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব ও মতামত তুলে ধরছেন। এসব মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দক্ষ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী।”

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়টি তুলে ধরে এই আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। অন‌্যদের মধ‌্যে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, ইআরসির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক এসএম আশফাক হোসেন বক্তৃতা করেন।

২০০৭ সালে পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ২ একর ৩৬ শতাংশ জমি নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়।

প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণের কাজ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরুই হয় ২০১২ সালে।

ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার (ইআরসি) নামে পরিচিত প্রকল্পে ইসির নিজস্ব ভবনটি দুইটি অংশে নির্মিত হয়েছে, যার একটি অংশ ১২ তলাবিশিষ্ট নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমএ সাঈদের আমলে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবনের জন্য জমি বরাদ্দ দেয় সরকার। এরপর সিইসি এটিএম শামসুল হুদার সময়ে কমিশন জমি অধিগ্রহণ, ভবনের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন বিদায়ের আগে ভবনটির উদ্বোধন হল।

দুই লাখ ৫৮ হাজার ৭৭ বর্গফুট বিশিষ্ট ‘নির্বাচন ভবনে’ রয়েছে সৌরবিদ‌্যুৎ ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা।

দ্বিতল বেইজমেন্টে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব‌্যবস্থাসহ আধুনিক মিলনায়তন ও নিজস্ব পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

১১ তলা ভবনটির চত্বরে ভাস্কর মৃণাল হকের তৈরি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের দুটি ভাস্কর্য রয়েছে। দুই ভাগে বিভক্ত ভবনটির পূর্ব অংশে কমিশন অফিস এবং পশ্চিম অংশে ইসি সচিবালয় থাকবে; মাঝখানে থাকছে সুদৃশ্য ফোয়ারা।

আধুনিক রেফারেন্স লাইব্রেরি, মিডিয়া সেন্টার, কনফারেন্স কক্ষ, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় সার্ভার স্টেশন ও ন্যাশনাল আইডি উইংও থাকছে এ ভবনে।

এছাড়া অন্যান্য ফ্লোরে থাকছে নির্বাচন শাখা, পল্লী শাখা, প্রশাসন শাখা, বাজেট শাখা ও আইটি শাখা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর