যুদ্ধাপরাধীদের যারা মন্ত্রী বানিয়েছে তাদেরও বিচার হবে

যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে যারা পতাকা তুলে দিয়েছে তারাও সমান অপরাধী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হচ্ছে, তাদেরও বিচার হতে হবে। আজ সময় এসেছে তাদের বিচার করার।

বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, সত্যিকার কেউ যদি স্বাধীনতা এনে থাকে, তারা কি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসাতে পারে? কেউ স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখে থাকলে তারা কি পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে যারা জাতিসংঘে অভিযোগ নিয়ে গেছে তাদের ক্ষমতার অংশ করতে পারে?

পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র বন্ধ থাকেনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বদলে ফেলতে লাগল ইতিহাস। তখন আর পাকিস্তানি হানাদার বলা হতো না। বলা হতো হানাদার। কারা হানাদার। বলার সুযোগ ছিল না। স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানানো হলো। জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যেতে বসেছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা। ইনশাল্লাহ, আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলবই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে দেব না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমার একটাই লক্ষ্য- এ দেশের কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষ অন্তত মানুষের মতো বাঁচতে শিখবে এবং বাঁচবে। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। সেইটুকু যেন করে যেতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর