শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, নারী শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে উদ্যোগী হলে তা রেজিস্ট্রেশনে সরকার অগ্রাধিকার দেবে।
তিনি আজ রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কর্মজীবী নারীদের নতুন সংগঠন ‘নারী শ্রমিক কণ্ঠ’ এর প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার আন্তরিক। তবে শ্রমজীবী নারীরা তাদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রতি আন্তরিক নয়। নারীদের অধিকার আদায়ে তাদের আরো সোচ্চার হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তিন বছরব্যাপী প্রায় ১১ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ঈশ্বরদী ইপিজেড এলাকায় নতুন ডরমেটরি নির্মাণ করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের তৈরিপোশাক শিল্পে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে এক লাখ অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিককে প্রোভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন শ্রমিক যাতে বিপদে অসহায় বোধ না করে সে জন্য সরকার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল এবং গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিলের মাধ্যমে সব ধরনের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘নারী শ্রমিক কন্ঠের অঙ্গীকার : চাই সমতা ও মর্যাদার অধিকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে আগত বিভিন্ন নারী সংগঠনের কর্মীগণ শপথ করেন। তাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার করেন। নারী শ্রমিক কণ্ঠের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে নারী শ্রমিক সম্মেলনে আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রী নিভাস বি রেড্ডি, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, নারী শ্রমিকদের উপদেষ্টা এ্যারোমা দত্ত, ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, এফইএম এর আবাসিক প্রতিনিধি মিস ফ্রানজিসকা কর্ন বক্তৃতা করেন।