নীলফামারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের নিচে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জ্ঞানদাস কানাইকাটা তেতুলতলা রেলঘুন্টিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা আরাজি দলুয়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ রায় (৪৮) ও ভবেশ রায় (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। পেশায় দুজনেই রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে তারা মোটরসাইকেল যোগে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ে পৌঁছালে চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে নীলফামারী স্টেশন পর্যন্ত চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই রেলক্রসিংটি অরক্ষিত এবং এর দুই পাশে দোকান ও বাজার থাকায় ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় কিছু দেখা বা শোনা যায় না। ফলে প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোনো গেট বা গেটম্যান নেই।
নিহত সন্তোষ রায়ের বড় ভাই শিবু রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই ভাই সঙ্গে কাজে যাচ্ছিল। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। ট্রেনের ধাক্কায় তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোপাল রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা দুজন চাচাতো ভাই। প্রতিদিনের মতো কাজে যাচ্ছিল। এই রেলক্রসিংয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গেট ও গেটম্যান না থাকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।