সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা। অধ্যাদেশের বিতর্কিত বিধি ও শাস্তির বিষয়গুলো পর্যালোচনা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্বেগ তুলে ধরতেই এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৪:১৫ থেকে ৪:৫৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ.এস.এম সালেহ আহমেদ, সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়। মো. নজরুল ইসলাম, সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম, কো-চেয়ারম্যান, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। বাদিউল কবীর, কো-চেয়ারম্যান, ঐক্য ফোরাম। মো. নজরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব, ঐক্য ফোরাম।
উক্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় অধ্যাদেশটির ৪টি বিধি এবং ৩টি শাস্তির ধারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই পক্ষই আলাদা করে খসড়া Inspiration প্রস্তুত করবে। এতে ২৫ জুন বিকেল ৪টায় পুনরায় যৌথসভায় বসে উভয় খসড়ার আলোকে চূড়ান্ত সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানা গেছে ।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ সভায় অধ্যাদেশটির বিভিন্ন অসুবিধার দিকগুলো তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে—এই অধ্যাদেশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং এটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।