ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাওনা এক হাজার টাকা না দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ১৫ বার

পাওনা এক হাজার টাকা না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বারের বাড়িসহ ৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও দুটি ট্রাকটর ভাঙচুর করা হয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা একই গ্রামের ইউনুস মোল্যার ছেলে মশিউরের কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। সোমবার বিকেলে নহাটা বাজারে করিমের সঙ্গে মশিউরের দেখা হলে পাওনা এক হাজার টাকা চান তিনি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পরে দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার সন্ধ্যার দিকে করিম মোল্যার সমর্থকরা আরবের চায়ের দোকানে মশিউরের আপন ভাই শফিকে ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনার জেরে পরের দিন মঙ্গলবার আবারও করিম মোল্যার পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা পাভেল, ইমদাদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার ও দেলজারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বার ও মশিউরের সমর্থকদের ওপর অর্তকিত হামলা চালান। হামলায় নারীসহ সাতজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায়  রাজিয়া (৭৫), জুই (১৬), মেরিকে (৪০) নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বুধবার সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় ৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা একজনকে আটক করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পাওনা এক হাজার টাকা না দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর

আপডেট টাইম : ১১:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পাওনা এক হাজার টাকা না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বারের বাড়িসহ ৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও দুটি ট্রাকটর ভাঙচুর করা হয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা একই গ্রামের ইউনুস মোল্যার ছেলে মশিউরের কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। সোমবার বিকেলে নহাটা বাজারে করিমের সঙ্গে মশিউরের দেখা হলে পাওনা এক হাজার টাকা চান তিনি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পরে দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার সন্ধ্যার দিকে করিম মোল্যার সমর্থকরা আরবের চায়ের দোকানে মশিউরের আপন ভাই শফিকে ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনার জেরে পরের দিন মঙ্গলবার আবারও করিম মোল্যার পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা পাভেল, ইমদাদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার ও দেলজারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বার ও মশিউরের সমর্থকদের ওপর অর্তকিত হামলা চালান। হামলায় নারীসহ সাতজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায়  রাজিয়া (৭৫), জুই (১৬), মেরিকে (৪০) নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বুধবার সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় ৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা একজনকে আটক করেছি।