ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি সিরাজগঞ্জে সবজি চাষে বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ১৭ বার

সিরাজগঞ্জে এবার সবজির বাগান চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ইতোমধ্যেই সচ্ছলতা ফিরে এসেছে অনেক কৃষকের। সবজির বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে এবং অনেক কৃষক এ সবজি চাষাবাদে সংসার জীবনযাপনও চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে। তবে জেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এসব সবজি চাষাবাদের মধ্যে রয়েছে, শীতকালীন ও বারোমাসি বেগুন, ঢেড়শ, পুঁইশাক, পটল, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, কচু, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজরসহ অন্যান্য শাকসবজি। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের সবজি চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা রাজাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪) ও তার স্ত্রী রিমি (২৫) বাড়ির আঙ্গিনায় ৫০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ করেছেন। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে কুমড়া, পুঁইশাক, ঝিঙা, বেগুন। এ চাষাবাদে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং এসব সবজি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এ সবজি বাগান থেকে আরো ২/৩ মাস সবজি বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষাবাদে সচ্ছলতা ফিরে আসায় এ দম্পত্তির মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের দুটি সন্তান এখন স্কুলে লেখাপড়া করছে।

কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সবজি চাষাবাদে লাভবান হয়ে মা-সহ পরিবারের সবাই এখন ভালোভাবে জীবনযাপন করছি।

এ গ্রামের অনেকেই এ বারোমাসি সবজি চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা এ লাভজনক চাষাবাদ বেশি করছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, শীতকালীন ও বারোমাসি এসব সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে এ চাষাবাদ করছে অনেকে। বাড়ির আঙিনা ও জমিতে এসব সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং কৃষক কৃষাণীরা এসব সবজির বাগান পরিচর্যা করছে। এসব সবজি বর্তমানে হাটবাজারে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং অন্যান্য সবজিও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এসব সবজি পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার শীতকালীন বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণও করা হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি সিরাজগঞ্জে সবজি চাষে বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ১১:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জে এবার সবজির বাগান চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ইতোমধ্যেই সচ্ছলতা ফিরে এসেছে অনেক কৃষকের। সবজির বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে এবং অনেক কৃষক এ সবজি চাষাবাদে সংসার জীবনযাপনও চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে। তবে জেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এসব সবজি চাষাবাদের মধ্যে রয়েছে, শীতকালীন ও বারোমাসি বেগুন, ঢেড়শ, পুঁইশাক, পটল, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, কচু, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজরসহ অন্যান্য শাকসবজি। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের সবজি চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা রাজাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪) ও তার স্ত্রী রিমি (২৫) বাড়ির আঙ্গিনায় ৫০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ করেছেন। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে কুমড়া, পুঁইশাক, ঝিঙা, বেগুন। এ চাষাবাদে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং এসব সবজি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এ সবজি বাগান থেকে আরো ২/৩ মাস সবজি বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষাবাদে সচ্ছলতা ফিরে আসায় এ দম্পত্তির মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের দুটি সন্তান এখন স্কুলে লেখাপড়া করছে।

কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সবজি চাষাবাদে লাভবান হয়ে মা-সহ পরিবারের সবাই এখন ভালোভাবে জীবনযাপন করছি।

এ গ্রামের অনেকেই এ বারোমাসি সবজি চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা এ লাভজনক চাষাবাদ বেশি করছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, শীতকালীন ও বারোমাসি এসব সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে এ চাষাবাদ করছে অনেকে। বাড়ির আঙিনা ও জমিতে এসব সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং কৃষক কৃষাণীরা এসব সবজির বাগান পরিচর্যা করছে। এসব সবজি বর্তমানে হাটবাজারে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং অন্যান্য সবজিও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এসব সবজি পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার শীতকালীন বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণও করা হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।