ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আমাকে কালো জাদু করা হয়েছিল, ২২ দিন আইসিউতে ছিলাম সড়কপথে গাজার দিকে রওনা দিয়েছেন শত শত অধিকারকর্মী বিচ্ছেদকে বিদায়, যেভাবে ফের বান্ধবীর সঙ্গে এক হলেন এনজো ফার্নান্দেজ দেশ চালানোর মতো ক্ষমতা তারেক রহমানের আছে: ফজলুর রহমান লন্ডন বৈঠক সরকার ও বিএনপি উভয়ের জন্যই সুযোগ জাল টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি, খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের অনন্য ভূমিকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • ১০ বার

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।’

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।’

নেতারা বলেন, ‘ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।’

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।’

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট

আপডেট টাইম : ১০:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।’

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।’

নেতারা বলেন, ‘ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।’

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।’

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।