আইপিএলের শুরুর আসর থেকেই খেলছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। আগের ১৭টি আসরে তিনবার ফাইনালে খেললেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি বিরাট কোহলিদের। এবার আবারও এসেছে সুযোগ। আগামী ৩ জুনের ফাইনাল জিতলেই প্রথমবারের মতো শিরোপা ছোঁয়া হবে বেঙ্গালুরুর। তবে দলটি শিরোপা জিতুক, সেটি চান না নাসের হুসেইন, মাইক আথারটনের মতো ইংলিশ ক্রিকেটের কিংবদন্তিরা।
নাসের, আথারটনের এই না চাওয়ার পেছনে আছেন আরসিবির মেন্টর দীনেশ কার্তিক। তাদের মতে, বেঙ্গালুরু শিরোপা জিতলে কার্তিককে সহ্য করা অসহনীয় ব্যাপার হবে। অবশ্য মজা করেই এই টিপ্পনি কেটেছেন নাসের ও আথারটন।
চলতি আইপিএলে বেঙ্গালুরুর মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিভিন্ন জায়গায় ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন কার্তিক। তাই ধারাভাষ্যকর নাসের ও আথারটনের কাছে কার্তিক পরিচিত একজনই। আগের কেউ যা করতে পারেননি, প্রথম মৌসুমে দায়িত্ব নিয়েই যদি সেটা কার্তিক করে দেখান, তাহলে তার মুখে কথার খই ফুটবে বলেই মনে করেন উল্লিখিত দুই ইংলিশ কিংবদন্তি।
স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে হুসেইন মজা করে বলেছিলেন, ‘আরসিবি ফাইনালে উঠেছে। যদি তারা জিতে যায়, তাহলে কার্তিকের জন্য সেটা অসহনীয় হয়ে উঠবে। কোচ/মেন্টর হিসেবে এক মৌসুম এবং সেখানেই সে জিতেছে!’
নাসেরের কথার সঙ্গে মাইকেল আথারটন যোগ করেন, ‘সেরা মুহূর্তে অসহনীয় হয়ে ওঠে সে (কার্তিক)। এবার দ্বিগুণ অসহনীয় হতে চলেছে। সে (ফুটবলের) জন টেরির মতো করবে, আরসিবির ট্রফি প্রদর্শনের সময় বিরাট কোহলির সঙ্গে সেটি সে উঁচিয়ে ধরবে।’
কার্তিক কেবল ড্রেসিংরুমেই প্রচুর পরামর্শ দেন এমন নয়, বরং মাঠে আরসিবির হয়ে একজন ‘নেতা’ হিসেবেও কাজ করেন। নিয়মিতভাবে সীমানার বাইরে থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা যায় তাকে। কার্তিক তার ভূমিকা নিয়ে বলেছিলেন, ‘আরসিবির অংশ হওয়াটা খুবই বিশেষ একটা অনুভূতি। আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলি, তার জন্য, আমাদের ভক্তদের জন্যও। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি এমন একটি যাত্রা যা অনেক উত্থান-পতনে ভরা। কিন্তু ট্রফিটি এখনো বেঙ্গালুরুর ঘরে পৌঁছায়নি। যদি আমি সেই যাত্রার অংশ হতে পারি, তাহলে কেন নয়? এটা আমার মনে একটা বড় প্রশ্ন ছিল। আমি জানি, আমি যখন খেলতাম তখন খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। তাই কোচ হিসেবে আমার জন্য এখানে আরেকটি সুযোগ।’