বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে বুধবার (২৯ মে)। সোমবার (২৬ মে) তার করা আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। দুই দিনব্যাপী শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে তারেক রহমান, স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, তারা ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও আরোপ করা হয়।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। পরে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। তার আগে দণ্ডাদেশ স্থগিত ও আপিল দাখিলে ৫৮৭ দিনের দেরি মাফের আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করে। ১৪ মে হাইকোর্ট তার আপিল গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করে।