ভারতের ক্রিকেট সুপারস্টার বিরাট কোহলি। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কেবল খেলাধুলায় আধিপত্য বিস্তার করেননি, বরং মাঠের বাইরেও বিশাল আর্থিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রায় ১ হাজার ৫০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫০০ কোটি) মালিক কোহলি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে একজন।
দিল্লির একজন তরুণ ক্রিকেটার থেকে আজকের বিরাট কোহলি হওয়ার পেছনে ক্রিকেটই মূল ভিত্তি। এই তারকাখ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগ, পণ্যের প্রচারণা ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন। স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী ও প্রযোজন আনুষকা শর্মার সঙ্গে কোহলির যৌথ সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ২৫০ কোটিরও বেশি। প্রতিবেদন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
ক্রিকেট: ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে যেখানে
কোহলির আয়ের প্রধান উৎস ক্রিকেট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে A+ গ্রেডের কেন্দ্রীয় চুক্তি রয়েছে, যা থেকে বার্ষিক ৭ কোটি রুপি আয় করেন তিনি। এছাড়াও, তিনি প্রতি ম্যাচে আয় করেন:
প্রতি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে: ৬ লক্ষ টাকা
প্রতি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে (অবসর নিয়েছেন): ৩ লক্ষ টাকা
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে খেলেন এবং প্রতি মৌসুমে ১৫ কোটি রুপি পান। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলা এই ক্রিকেটারকেই সবচেয়ে বেশি দর্শক-ভক্তরা অনুসরণ করেন।
মাঠের বাইরের আয়
বিরাট কোহলি একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন এবং বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ড প্রচারের জন্য মোটা অঙ্ক নিয়ে থাকেন।
ওয়ান৮: ২০১৬ সালে পুমা’র সঙ্গে অংশীদারত্বে চালু হওয়া এই ব্র্যান্ডটিতে স্পোর্টসওয়্যার, সুগন্ধি এবং নিয়মিত পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে। এই ব্র্যান্ডের রেস্তোরাঁ এখন মুম্বাই, পুনে এবং কলকাতার মতো শহরে আছে। কোহলি এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে আছেন।
ডব্লিউআরওজিএন: ভারতের তরুণদের জন্য একটি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। নিখুঁত ও সাহসী নকশার জন্য পরিচিত এই ব্র্যান্ডটি কোহলির ব্যক্তিগত স্টাইলকেই প্রতিফলিত করে।
নুয়েভা: নয়াদিল্লিতে নুয়েভা নামের একটি দুর্দান্ত রেস্টুরেন্টেরও যৌথ মালিক কোহলি। এটি দক্ষিণ আমেরিকান খাবার এবং প্রিমিয়াম ডাইনিংয়ের জন্য বেশ পরিচিত।
বহু কোটি টাকার সম্পত্তি
কোহলির রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে দুটি উচ্চমানের সম্পত্তি। এর মধ্যে একটি গুরগাঁও ম্যানশন। এটি প্রায় ৮০ কোটি রুপি মূল্যের একটি বিলাসবহুল ১০ হাজার বর্গফুট বাংলো। এতে একটি ব্যক্তিগত জিম, বার, সুইমিং পুল এবং কিউরেটেড আর্ট স্পেস রয়েছে।
মুম্বাই অ্যাপার্টমেন্ট: ওরলির বিলাসবহুল ওমকার-১৯৭৩ টাওয়ারে অবস্থিত, ৭ হাজার বর্গফুটের সমুদ্রমুখী এই বাড়িটির মূল্য ৩৪ কোটি টাকা বলে অনুমান করা হচ্ছে। অ্যাপার্টমেন্টটি তার অপূর্ব অভ্যন্তরীণ সজ্জা এবং আরব সাগরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য পরিচিত।
কোহলির গাড়ি
কোহলির রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ির বহর। যার মধ্যে রয়েছে অডি, বেন্টলি এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ মডেলের গাড়ি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অডি ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন এবং নিয়মিতই তাকে সর্বশেষ মডেলগুলি চালাতে দেখা যায়।