দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে লড়েছেন। করেছেন সেঞ্চুরিও। এরপর বল হাতেও ঘূর্ণির পসরা মেলে ধরেছেন। পেয়েছেন ৫ উইকেট। এই মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যেই চট্টগ্রাম টেস্টে তিন দিনেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এক ইনিংস ও ১০৬ রানে বিশাল জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এ জয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। এর আগে সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ে জয় পেয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২২৭ ও ১১১/১০
বাংলাদেশ: ৪৪৪
আজ বুধবার চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষটির তৃতীয় দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ স্পিনারদের তোপে ধস নামে জিম্বাবুয়ের। মিরাজ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ৩টি ও নাঈম হাসান একটি উইকেট পান।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৩ বলে ৪৬ রান করেন বেন কারান। এছাড়া ক্রেইগ আরভিন ২৫ ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১০ রান করেন। তবে বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারলেও ১১১ রানে থামে তাদের ইনিংস।
এর আগে টেলএন্ডারদের নিয়ে দারুণ লড়াই করে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। তার কল্যাণেই ২০০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করেছে টাইগাররা। লিড ২১৭ রানের।
তবে সকাল থেকেই বৃষ্টি কয়েকবার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।
মিরাজ-তাইজুল অষ্টম উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ৬৩ রান তোলেন। ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তাইজুল। এই বাঁহাতি ৮০ বলে ৩টি চারে ২০ রান করেন।
অলরাউন্ডার মিরাজ এরপর অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ম্যারাথন জুটি গড়েন। নবম উইকেটে তারা ১৫৬ বলে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। প্রথম টেস্টেই দারুণ খেলা তানজিম শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ করে ওয়েসলি মাধেভেরের বলে আউট হন। আর মিরাজ শেষ ব্যাটার হিসেবে ১০৪ রানে বিদায় নেন। ১৬২ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
মিরাজকে বিদায় করা ভিনসেন্ট মাসেকেসা অভিষিক্ত টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। ২ উইকেট হারিয়েই ১৭৭ রান তুলেছিল রোডেশিয়ানরা। তবে তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসানের তোপে শেষ পর্যন্ত ২২৭ রানেই অলআউট হয় তারা।