ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতোন চলেন সবসময়।
পর্দা আর বাস্তব দুই জায়গাতেই এ নায়িকাকে নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও সবকিছুকে পেছনে ছুঁড়ে ফেলে একজন সংগ্রামী নারী ও মমতাময়ী মা হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ইতোমধ্যেই।
সিনেমা জগতে ব্যস্ততার পাশাপাশি সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমানতালে সরব থাকতে দেখা যায় ঢালিউড নায়িকা পরীমণিকে। সেই ধারাবাহিকতায় মমতাময়ী মা রূপে এবার তিনি শেয়ার করলেন নিজের এক নতুন অভিজ্ঞতা।
আজ রবিবার সকাল ৮টায় এক ফেসবুক পোস্টে পরী লেখেন, ‘‘রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা ! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন।
তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না..জাস্ট ট্রাস্ট মি!
রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না!?
কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যালে।
শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না। একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে।
পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেয়ার মতন তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর…
আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো মরেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি !!! ???