গাজীপুরের শ্রীপুরে ভন্ডপীর নামে পরিচিত কথিত মানব ধর্মের প্রচারক ‘জয় গুরু মনির শাহ্কে’ কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার সকালে স্থানীয় তৌহিদি জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আজ সোমবার দুপুরে কথিত পীরকে একটি মামালয় পুলিশ আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার ধোপাকান্দি থানার জামতৈল গ্রামের ডা. রফিকুল ইসলাম চিশতির ছেলে।
মনির শাহ্ অনুমান ১৮ বছর আগে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বারতোপা গ্রামের বনের জমিতে হেরা দ্বীপ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠা করেন। বন বিভাগ ও স্থানীয়রা ২০১৭ সালে তাকে ওই বন থেকেউচ্ছেদ করেন।
স্থানীয়রা জানান, অনুমান ১৮ বছর আগে মনির শাহ্ ওই জঙ্গলে আস্তানা গড়ে বসেন। তিনি কথিত মানব ধর্মের দিক্ষা দেন সাধারণ মানুষকে। বিষয়টি সচেতন মহল ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা ভালোভাবে নিতে পারেননি। তার ইসলাম পরিপন্থী কাজ এবং বনের জমি দখল করার অভিযোগে ২০১৭ সালে উচ্ছেদ করে স্থানীয়রা ও বনবিভাগ। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর ফের মনির শাহ্ আনাগুনা শুরু করেন। এ বিষয়ে উপজেলার আলেম সমাজ বারতোপা বাজারে প্রতিবাদ সভা করেন।
এদিকে আগমী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি হেড়াবনে মনির শাহ্ ওরস করারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর অংশ হিসেবে রবিবার সকালে মাওনা চৌরাস্তা জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুফতি জামাল উদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করতে আসেন। এ সময় আলেম-ওলামা এবং ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে জয়গুরুকে কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, তৌহিদি জনতার হাতে আটক মনির শাহ্কে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।