হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না টাইগারদের সামনে। এমন ম্যাচে বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
গতকাল মঙ্গলবার সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ। ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দ্রুতই আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ করেন ৯২ বলে ৬২ রান। এ ছাড়া তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৪৬ ও তানজিম সাকিব করেন ৬২ বলে ৪৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জায়ডেন সিয়েলস নেন ৪টি উইকেট।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দুই উইন্ডিজ ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। ৬২ বলে ৪৯ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন এভিন লুইস।
এরপর ক্রিজে আসা কাসি কার্টিকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কিং। ফিফটি তুলে নিয়ে মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। তবে দলীয় ১৭৫ রানে ৭৬ বলে ৮২ রান করে আউট হন কিং।
এর শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন কার্টি। দলীয় ১৯৫ রানে ৪৭ বলে ৪৫ রান করে আউট হন কার্টি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা শেরফান রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে ৭৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হোপ। রাদারফোর্ড ১৫ বলে ২৪ ও হোপ ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
২০১৪ সালের পর উইন্ডিজের সঙ্গে চারবারের দেখায় চারবারই সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে টপ অর্ডার ও মিডিল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় এবার সেই দাপট ধরে রাখতে পারেনি মিরাজের দল।