ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয়টেস্টের তৃতীয় দিনটা দারুণ কাটল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হওয়া টাইগাররা নাহিদ রানার আগুনে বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের গুটিয়ে দেয় ১৪৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতগতিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। তাতে লিড দাঁড়িয়েছে ২১১ রানের।
জ্যামাইকার এই মাঠে সর্বোচ্চ ২১২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। ২০০৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল স্বাগতিক উইন্ডিজ। তবে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে নিশ্চয়ই আরও রান যোগ করবে বাংলাদেশ। তাই টাইগারদের স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়েছে।
১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৬ রান যোগ করে স্বাগতিক দলটি। ১৪৬ রানে অলআউট হলে বাংলাদেশ পায় ১৮ রানের লিড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পেলেও পরের ব্যাটারদের ইনিংস ছিল যেন মোবাইল নম্বরের সংখ্যা। ওপেনার ও অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের ৩৯ ও তিনে নামা কেসি কার্টির ৪০ রানই ছিল দলীয় সর্বোচ্চ।
গতির ঝড় তুলে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ লন্ডভন্ড করেছেন রানা। আগের দিনের ১ উইকেটসহ আজ তুলে নিয়েছেন আরও ৪ উইকেট। প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ারে পেলেন ৫ উইকেটের দেখা। শুধু উইকেটই নয় তার বলে শরীরে আঘাত পেয়েছেন কেমার রোচসহ একাধিক উইন্ডিজ ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে বাকিদের মধ্যে ২টি উইকেট হাসান মাহমুদের ও একটি করে তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে আবারও শুরুতেই হারায় প্রথম ইনিংসেও রান না পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়কে। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। যার শুরুটা করেন শাহাদাত হোসেন দীপু। ২৬ বলে ২৮ রান করে দীপু ফেরেন। এদিন মুমিনুল হক অসুস্থ থাকায় চার নম্বরে নামেন অধিনায়ক মিরাজ। নেমেই সাদমানকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনে ২০ ওভারে পড়েছে ২ উইকেট, রান উঠেছে ১১০। তৃতীয় সেশনে ২১.৪ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে লিডে আরও ৮৩ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। তাতে লিড দাঁড়ায় ২১১ রানের।
৮২ বলে ৪৬ রান করেছেন ওপেনার সাদমান। আর ৪২ রান করতে মিরাজ খেলেছেন মোটে ৩৯ বল। ৩৪ বলে ২৫ রান করে আউট হয়েছেন লিটন দাস। দিন শেষে জাকের আলী ২৯ রানে ও তাইজুল ৯ রানে অপরাজিত আছেন। আশা করা হচ্ছে, চতুর্থ দিনে সুস্থ হয়ে মাঠে নামবেন মুমিনুল। তাতে ব্যাটিং শক্তি আরও বাড়বে বাংলাদেশের। আরও উজ্জ্বল হবে জয়ের স্বপ্ন।