যারা আওয়ামী লীগ করে তারা যদি বিএনপিতে আসতে চায় তারা রাতের অন্ধকারে বিএনপিতে আসলে হবে না। তাদের অফিসিয়ালি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নেতা মেনে, স্বাধীনতার ঘোষক মেনে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক মেনে, তারেক রহমানকে নেতা মেনে, বেগম খালেদা জিয়াকে নেত্রী মেনে, ওবায়দুর রহমানকে নেতা মেনে আসতে হবে।”
“যদি তারা ধানের শীষে সরাসরি যোগদান করে ভাল কথা, তার আগে কোনো আওয়ামী লীগের সাথে মেশামেশির দরকার নাই” বলে নেতাকর্মীদের সর্তক করেছেন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।
শুক্রবার সন্ধায় (৬ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের নগরকান্দায় ডাঙ্গী ইউনিয়নে সদ্য প্রয়াত বিএনপির নেতার স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়ার সময় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় নেতাকর্মীদের তিনি আরও বলেন, “আপনারা দেখেন আওয়ামী লীগ কিন্তু বসে নাই, হাসিনা পালায় গেছে ষড়যন্ত্র কিন্তু চলতেছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতেছে। বিএনপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ঢুকে কোনো ষড়যন্ত্র করবে না তার কোন গ্যারান্টি নাই। সুতরাং আমাদের যারা বিএনপির নেতাকর্মী আছি তাদেরকে সজাগ থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।”
এ সময় তিনি প্রয়াত নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে তাদের মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রয়াত বিএনপি নেতাকর্মীর স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ, সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন বকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ রফিকুল ইসলাম জাজরিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান তারা মোল্লা, অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক গোলজার শরীফ, সহ প্রচার সম্পাদক ওমর আলী, সদস্য সাইফুর রহমান, যুবদল নেতা তৈয়াবুর রহমান, হেলালউদ্দীন হেলাল, রবিউল ইসলাম বাবু, নাজমুল হোসেন রাজু, ওলামা দল নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান, মজিবর রহমান, মাওলানা আবুল হাসান, জহিরুদ্দীন চোকদার প্রমুখ।