ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেরি বলেছেন, মার্কিন সরকার ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলসহ শত্রুদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে তেহরান।
শনিবার রাজধানী তেহরানে শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে তিনি এই হুমকি দিয়েছেন।
খামেনি বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী অহংকার এবং অপরাধী যন্ত্র, যা আজ বিশ্ব ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে তাকে মোকাবিলা করার জন্য ইরানের প্রচেষ্টা অবশ্যই ব্যর্থ হবে না।’
ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানো উচিত নয়: যুক্তরাষ্ট্র
সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশ বাড়াচ্ছে ইরান
তিনি বলেন, ‘অহংকার মানে ব্যাপক অর্থনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য এবং জাতির অবমাননা।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে খামেনি বলেন, ‘শত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসক উভয়েরই জানা উচিত যে তারা ইরান, ইরানি জাতি এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের বিরুদ্ধে যা করছে তার দাঁতভাঙা জবাব তারা অবশ্যই পাবে।’
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরায়েল এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরান ‘বড় ভুল করেছে’ এবং ‘এর মাশুল দিতে হবে’।
২৬ অক্টোবর ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের তিনটি প্রদেশের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির স্থাপনায় তিন দফায় এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের হামলায় চার সেনা নিহত এবং ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলে জানায় ইরান। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু।