মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার। অতীত অভিজ্ঞতা মাথায় নিয়ে তার আগে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সতর্ক ডেমোক্র্যাটিক শিবির। ২০২০ সালের ভোটের দিন সকালে নিজেকে আগাম বিজয় ঘোষণা করে উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। এমন পদক্ষেপ ঠেকাতে এবার ব্যবস্থা নিবে ডেমােক্র্যাটরা।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি গণমাধ্যম ব্যবহার করে মার্কিনিদের ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নির্বাচনের দিন জয় ঘোষণা করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী তিনি। কিন্তু তার বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য কয়েকদিন পর্যন্ত লাগতে পারে। বিশেষ করে, গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে যদি পুনরায় ভোট গণনার প্রয়োজন পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পর যারা ভোট গণনার দায়িত্বে থাকেন তারা গণনা শেষে ফলাফল নির্বাচর্নী কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন। এরপর কর্মকর্তারা দেশটির প্রধান মিডিয়া আউটলেটগুলোতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলের আগে কেউ যদি নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে থাকেন তাহলে সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত হয়ে পড়ে।
ট্রাম্প এমন কাণ্ড করলে তাকে ঠেকাতে ডেমোক্র্যাটরা কী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন সে বিষয়ে ওই সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হ্যারিস। তবে ডেমোক্র্যাটিক দলের এবং কমলা হ্যারিসের প্রচারণা শিবিরের ছয়জন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি ট্রাম্প ফলাফল ঘোষণার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন তাহলে আমরা এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
কমলা হ্যারিসের দলের আশঙ্কা, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং টেলিভিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট গণনার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করতে পারেন।
ডেমোক্র্যাটিক দলের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ট্রাম্প তার জয়ের অসত্য দাবি করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে সত্য প্রচার করা শুরু করব। তার অযৌক্তিক দাবি খণ্ডানোর মতো জনমত গড়ে তুলব।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে নির্বাচনের পরদিন সকালেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনদিন পর প্রথম কোনও সম্প্রচারমাধ্যম জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে, যা মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার এ অভিযোগ বিশ্বাস করে ট্রাম্পভক্তরা দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।
মার্কিন নির্বাচনের পুরোপুরিভাবে গণনা করতে কমপক্ষে ৩-৪দিন সময় লাগে। এবার সাত দোদুল্যমান রাজ্যের ভোটের ৭০ ভাগ গণনা হলেই ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে।