ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। আওয়ামী লীগের গঠন করা সন্ত্রাস বিরোধীদের আইনে কিন্তু ছাত্রলীগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৫ জুলাই এর পর থেকে প্রতিটি ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র উপরে যে নির্যাতন চালিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ন্যাক্কারজনক। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব একথা বলেন।

শুক্রবার দুপুরে সাংগঠনিক কাজে পটুয়াখালী সফর শেষে কুয়াকাটায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপি’র এপ্রিল চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচার প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন

তিনি সকালে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেটে সাধারণ মানুষের মাঝে ধানের শীষে ভোট চান। পরে তিনি কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহারে রাখাইন মন্দিরে রাখাইনদের সাথে এই একত্রিশ দফা নিয়ে আলোচনা করেন। এবং তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রতি দেন।

তিনি আরো জানান, গত সাড়ে ১৫ বছর যে সকল মিডিয়া সাধারণ জনগনের পক্ষে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেনি বা পারেনি তারা কিন্তু এখনো ছাত্রদলের কিছু সামান্য ঘটনাকে অবান্তর রূপে প্রচার করে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপন করছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই আজ না হয় কাল আপনাদের উদ্দেশ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। ছাত্রদল নৈতিকভাবে ঠিক থাকলে আমাদেরকে কেউ ষড়যন্ত্র করে দমন করতে পারবে না। নৈতিকভাবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকবো। তাই মিডিয়ার কাছে আমাদের অনুরোধ অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য।”

তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য একটি নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি উপহার দিতে চাই প্রতিটি ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জনপ্রিয় তাদের কি আমরা নেতৃত্বে নিয়ে আসবো। সারা বাংলাদেশে কোথাও ছাত্রদল আর কোনপ্রকার সৌডাউনের রাজনীতি করবে না। সারাদেশে ছাত্রদলের ছোট ভুলও আমরা ক্ষমা করছি না সাথে সাথে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বলব বর্তমানে সবচেয়ে স্বচ্ছধারার ছাত্র রাজনীতি করছে ছাত্রদল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে এই প্রত্যাশা করছি।’

এ লিফলেট বিতরণে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রিয়াদ, সহ সভাপতি শাকির আহমেদ, সহ সভাপতি এইচ.এম আবু জাফর, যুগ্ম সম্পাদক এম.এম মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল জলিল আমিনুল, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজ আনোয়ার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হোসেন, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক মওদুদ হোসেন মঈন, সাবেক গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলম। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব জাকারিয়া হোসেন, কলকাতা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন হাওলাদার,  ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স শরীফ। কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবায়ের রিয়াজ, সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন হাওলাদার। এছাড়াও কুয়াকাটা পৌর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।