টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ও কিন্তু সবচেয়ে বেশি টিভি অনুষ্ঠান আমি উপস্থাপনা করেছি। শেষ ফুটবল বিশ্বকাপের সময়ও কিন্তু সেটা করেছিলাম। এবার নাগরিক টিভির ‘ক্রিকবাজ’ করছি।
কাজের চাপে নাটকটা এখনো দেখতে পারিনি। তবে অনেকেই প্রশংসা করছেন। ফাহিম হাসান মনির ভাইয়ের পরিচালনায় এতে আমার সঙ্গে আছেন ইরফান সাজ্জাদ ভাই। সাদামাটা একটা গল্প হলেও দর্শক নাটক দারুণ পছন্দ করেছেন। এরই মধ্যে পাঁচ লাখের বেশিবার ইউটিউবে নাটকটি দেখেছে দর্শক।
এক সপ্তাহ পরেই [১০ অক্টোবর] মুক্তি পাবে ‘ত্রিভুজ’। ওয়েব ছবিটিতে আপনার চরিত্র ও গল্পটি কেমন?
ছবিটা নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি। শুটিং করেছিলাম এ বছর ১৫, ১৬ ও ১৮ জানুয়ারি। তখন ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। কাউকে বুঝতে না দিয়ে নীরবে শুটিং করে গেছি। উপরওয়ালা আমাকে এই শক্তি দিয়েছেন। ভেতরে যা হয়ে যাক, বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারে না। ‘ত্রিভুজ’ পরিচালনা করেছেন আলোক হাসান। এখানে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত তিন শ্রেণির তিন কাপলের গল্প বলা হয়েছে। আমি আর সোহেল মণ্ডল নিম্নবিত্ত সমাজের। আমি ফুল বিক্রি করি। একটা দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে আমার জীবনে নেমে আসে অমানিশা। পাশাপাশি অন্য দুটি কাপলের মাঝেও তৈরি হয় টানাপড়েন। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প। সোহেল ভাই আর আমি প্রাচ্যনাটের। তবে এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করলাম। তিনি অনেক ভালো অভিনেতা। ছবিতে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ চাপ নিতে হয়েছে।
নতুন কোনো রিয়েলিটি শো উপস্থাপনা করছেন?
চূড়ান্ত হয়েছে। এখনো শুটিং শুরু হয়নি। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে আমরা শুটিং করব। ‘কনকা সেরা পরিবার’ শোটির তৃতীয় সিজন হবে এবার। ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব জানিয়ে দেবে এনটিভি।
মূকাভিনয়ের খবর কী?
মাঝখানে কিছু দিন বিরতিতে ছিলাম। একটা সুসংবাদ দিই, ১০ অক্টোবর তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছি। দেশটির থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমার সঙ্গে আরো থাকবেন মাহবুব ইসলাম ভাই ও মীর লোকমান ভাই। দেশে ফিরব ১৪ অক্টোবর।
নতুন কোনো নাটক বা ছবি হাতে আছে?
না। এখন উপস্থাপনাতেই আমাকে পাওয়া যাবে বেশি। বাংলাদেশে তো আছেই, লন্ডন-আমেরিকার বাঙালিদের কাছ থেকেও আমন্ত্রণ পাচ্ছি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার। অভিনয়টা কিন্তু বেশ কঠিন কাজ। আমি উপস্থাপনা করেই অভ্যস্ত। হঠাৎ অভিনয়ে ঢুকলে বাচনভঙ্গি পরিবর্তন করতে হয়, চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে হয়। মোট কথা একেকটা কাজের জন্য বড় একটা সময় প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই অভিনয়টা নিয়মিত করা হয় না। তবে ভালো কাজের প্রস্তাব পেলে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে ছাড় দিতে রাজি আছি।
ব্যক্তিজীবনে নানা চাড়াই-উতরাই পার করলেন। এখন নিশ্চয়ই থিতু হয়েছেন?
অতীত আর মনে করতে চাই না। সবাইকে বলব, জীবন একটাই। কখনো দ্রুত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমি এটার ভুক্তভোগী। একটা দুঃসময় থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন মা-বাবা ও ভাইকে নিয়ে আমার সংসার। হাসি-আনন্দে বেঁচে আছি আমরা চারজন। সারা জীবন এভাবেই পার করতে চাই।