অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার সপ্তাহ পর নির্বাচন করা নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সরকারপ্রধানের কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে গত ১২ আগস্ট বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করায় এবার তাদের ডাকা হয়নি।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় ডাক পায়নি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ (বিএসপি) আরও কয়েকটি দল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একের পর এক বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইতোমধ্যে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ। যার নেতৃত্ব দেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা জালাল উদ্দিন।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে গণফোরাম। যার নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এসএম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের ও মোশতাক আহমেদের থাকার কথা রয়েছে।
অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন রেদোয়ান আহমেদ, নেয়ামূল বশির, নুরুল আলম তালুকদার ও আওরঙ্গজেব বেলাল।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যাবে জাতীয় পার্টি। প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান চুন্নু, মাশরুর মওলা ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নের্তৃত্ব দেবেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এই জোটের শরিক জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকি, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম মতবিনিময়ে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
১২ দলীয় জোটের নের্তৃত্ব দেবেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এ জোটে জাতীয় পার্টির সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির একাংশের ফারুক রহমান, জাগপা একাংশের তাসমিয়া প্রধান, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের শাহ আহমেদ বাদল থাকতে পারেন।
শরীফ নুরুল আম্বিয়া নের্তৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ জাসদের। তার সঙ্গে নাজমুল হক প্রধান, মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার, কাজী সদরুল হকের থাকার কথা রয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত ১২ আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী, শাহ আলমের নেতৃত্বে সিপিবি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চ, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে বিজেপি, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবি পার্টি, নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ, হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএম আলাদাভাবে মতবিনিময় করে।
প্রসঙ্গত, ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠক শেষে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখবে। তাদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব যেগুলো আসবে সেগুলো গ্রহণ করবো। সেই ব্যাপারে পদ্ধতির বিষয়ে কথা হয়েছে।