সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ রোববার। একই দিনে খুলছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গত ১৫ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, গত ৭ আগস্ট থেকে অনেক প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হচ্ছিল। তবে উপস্থিতি কম ছিল। অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তার শঙ্কা ছিল। পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসায় আজ থেকে স্কুল-কলেজে যথারীতি ক্লাস হবে।
মাধ্যমিক স্তরের মাদ্রাসা, কামিল ও ফাজিলে যথারীতি ক্লাস চালু হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই নির্দেশনা দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরও।
জানতে চাইলে মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে যে, রোববার থেকে পুরোদমে ক্লাস হবে। শিক্ষায় বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠতে চলতি শিক্ষাবর্ষের বাকি সময়টা পুরোদমে ক্লাস হওয়া জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয় রোববার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট রোববার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় গত ১৬ জুলাই রাতে দেশের উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয়। পরদিন বন্ধ হয় সব বিশ্ববিদ্যালয়।
গত ১৭ জুলাই থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাই থেকে দেশের আট বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরপর দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।