ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা, সহযোগিতার আশ্বাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৩ বার
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যেকোনো উপায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণ প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো উপায়ে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা বলেছেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কি না বা তার সঙ্গে কথা বলেছেন কি না।

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘তিনি (মহাসচিব) তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়ক আজকের (বৃহস্পতিবার) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি ও কান্ট্রি টিম সক্রিয় রয়েছে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাত্রই শপথ নিয়েছেন। তার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো বক্তব্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে উপমুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের প্রত্যাশার কথা আমরা বলে আসছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই প্রত্যাশা করে যাব।’ বাংলাদেশে সহিংসতা কমে আসা ও জনসাধারণের কাছ থেকে বেশি মাত্রায় সংযত আচরণ ভালো লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে কয়েক শ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা চাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অপর এক সাংবাদিক। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের বক্তব্য জানতে চান তিনি।
জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে কী ধরনের অনুরোধ জানানো হয়, তা তারা দেখবেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করবে, আমরা অবশ্যই যেকোনো উপায়ে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’
বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘ভালো কথা। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যেসব সহিংসতা হচ্ছে, তা কমিয়ে আনা হোক, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নিশ্চিতভাবেই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আক্রমণ বা বর্ণভিত্তিক সহিংসতায় উসকানির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ’র শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রায় চার দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উভয় পক্ষই বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘ইইউ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে সমর্থন করার জন্য উন্মুখ।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন
বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তারা। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাদের মুখপাত্র এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকার নিয়ে চীনের মন্তব্য কী?
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি চীন অবহিত এবং তারা এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। চীনে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে বিশ্বাসী।’
মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং দেশটির জনগণ তাদের মঙ্গলের জন্য যে পথ বেছে নিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকতে চাই।
মুখপাত্র আরও জানান, চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন অনেক মূল্যবান মনে করে। বিভিন্ন খাতে চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সামগ্রিকভাবে দুই দেশের কৌশলগত, সহযোগিতামূলক ও পূর্ণাঙ্গ অংশীদারত্বকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে বেইজিং প্রস্তুত।
অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানালেন মমতা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই অভিনন্দন বার্তা জানান তিনি।
মমতা পোস্টে লিখেছেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল। আশা করি, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরও ভালো হোক – এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আশা প্রকাশ করে মমতা ওই পোস্টে আরও জানান, ‘আশা করি, খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকব।’
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা, সহযোগিতার আশ্বাস

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যেকোনো উপায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণ প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো উপায়ে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা বলেছেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কি না বা তার সঙ্গে কথা বলেছেন কি না।

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘তিনি (মহাসচিব) তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়ক আজকের (বৃহস্পতিবার) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি ও কান্ট্রি টিম সক্রিয় রয়েছে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাত্রই শপথ নিয়েছেন। তার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো বক্তব্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে উপমুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের প্রত্যাশার কথা আমরা বলে আসছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই প্রত্যাশা করে যাব।’ বাংলাদেশে সহিংসতা কমে আসা ও জনসাধারণের কাছ থেকে বেশি মাত্রায় সংযত আচরণ ভালো লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে কয়েক শ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা চাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অপর এক সাংবাদিক। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের বক্তব্য জানতে চান তিনি।
জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে কী ধরনের অনুরোধ জানানো হয়, তা তারা দেখবেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করবে, আমরা অবশ্যই যেকোনো উপায়ে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’
বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘ভালো কথা। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যেসব সহিংসতা হচ্ছে, তা কমিয়ে আনা হোক, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নিশ্চিতভাবেই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আক্রমণ বা বর্ণভিত্তিক সহিংসতায় উসকানির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ’র শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রায় চার দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উভয় পক্ষই বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘ইইউ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে সমর্থন করার জন্য উন্মুখ।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন
বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তারা। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাদের মুখপাত্র এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকার নিয়ে চীনের মন্তব্য কী?
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি চীন অবহিত এবং তারা এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। চীনে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে বিশ্বাসী।’
মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং দেশটির জনগণ তাদের মঙ্গলের জন্য যে পথ বেছে নিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকতে চাই।
মুখপাত্র আরও জানান, চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন অনেক মূল্যবান মনে করে। বিভিন্ন খাতে চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সামগ্রিকভাবে দুই দেশের কৌশলগত, সহযোগিতামূলক ও পূর্ণাঙ্গ অংশীদারত্বকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে বেইজিং প্রস্তুত।
অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানালেন মমতা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই অভিনন্দন বার্তা জানান তিনি।
মমতা পোস্টে লিখেছেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল। আশা করি, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরও ভালো হোক – এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আশা প্রকাশ করে মমতা ওই পোস্টে আরও জানান, ‘আশা করি, খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকব।’