ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৬ জেলায় সহিংসতায় নিহত ৬৯, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৩ বার

দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ২১, লক্ষ্মীপুর ৮, নরসিংদী ৬, ফেনী ৫, বগুড়া ৪; কিশোরগঞ্জ, পাবনা, মাগুরা, রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, ও সিলেটে ৩ জন করে; মুন্সীগঞ্জ, ২ জন করে এবং জয়পুরহাট ও বরিশালে ১ জন করে নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।

১৮:৫৮

সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

সিরাজগঞ্জে ১১ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে তাদের পিটিয়ে হত্যা করে।

রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ১১ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

১৮:৩২

লংমার্চ টু ঢাকা আগামীকালই

ছাত্র-জনতার ঢাকা অভিমুখে যাত্রার যে ডাক দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সেটির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্টের পরিবর্তে আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) এগিয়ে আনা হয়েছে।

১৮:২৭

সিলেটে নিহত ৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে সিলেটের গোলাপগঞ্জে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিজিবি, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুদর্শন সেন।

১৮:১২

নরসিংদীতে নিহত ৬

নরসিংদীতে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী।

১৭:৫৬

তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে হতাহতের খবর আসছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশে ফের অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে সরকার। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ কারফিউ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

১৭:৫১

কিশোরগঞ্জে নিহত ৩

কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও সগযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একজন নারীসহ অন্তত চারজন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীসহ দুইজন দগ্ধ হয়ে এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আর একজন মারা গেছেন হার্টঅ্যাটাকে।

১৭:০৩

সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৮

সিরাজগঞ্জে সরকার পতনের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থী–জনতা এবং আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন অন্তত পাঁচজন, সিরাজগঞ্জ শহরে মারা গেছেন তিনজন। রায়গঞ্জে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তাঁর উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

১৬:৪৭

লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে নিহত ৪

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ ও অন্যান্য কারণে আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি ছুড়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদরের চকবাজার, বাগবাড়ি ও উত্তর ত্রিমোহিনী এলাকায় জমায়েত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ সারা দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত ছিল। অবধারিতভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অরূপ পাল দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুজনের নাম আফনান ও কাউসার। এছাড়া এই সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

তাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা সদর হাসপাতাল, বেসরকারি নোভা হাসপাতাল, আধুনিক হাসপাতাল ও কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

১৬:৪৫

ফেনীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আ.লীগের হামলা, নিহত ৫ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে ফেনীতে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪ টা) এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ রোববার দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন– ফেনী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (২০), সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২১) এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৯)।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ট্রাংক রোড থেকে দলবল নিয়ে শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল যান আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় সড়কে গুলি তাক করে সাংবাদিকদের একটি ব্যাংকের ভেতর তাড়া করে মোবাইল, প্রেস জ্যাকেট ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে মারধর করেন তারা।

পরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রজনতার ওপর অতর্কিত গুলি ও হামলা চালায় নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা করে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ থাকে যানচলাচল।

আবদুল কাদের নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত আর কিছু বলতে পারছি না।

১৬:৪২

বগুড়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ৩

বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের সাতমাথা এলাকা। সংঘর্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, বগুড়া সদর আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপুর বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নিহতরা হলেন– বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৪০), অপর একজন অজ্ঞাত (৬০)। তারা শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় নিহত হন। অপরজন কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৩৪)। তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় হামলার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তার লাশ দুপচাঁচিয়া উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাতমাথা চত্বর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এরপর তা আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সাতমাথা ত্যাগ করে। সাতমাথা চত্বর দখলে নেওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থাপনা এবং সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ প্লাজার সামনে অবস্থান করে। আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় অগ্নিসংযোগ শেষে পিডিবি রোড হয়ে শহীদ খোকন পার্কের ভেতরে এবং সার্কিট হাউস রোড হয়ে ফুল মার্কেটের সামনে গিয়ে পুলিশের ওপরে ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।

পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতমাথা থেকে তাদের হটিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও গোহাইল রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে ফাঁকা গুলি অব্যাহত রাখে। বেলা পৌনে ২টার দিকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তারা একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। অপর একজনের লাশ মর্গে আছে এমন তথ্য তিনি জানেন না বলে জানান তিনি।

এদিকে বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইএমও ডা. আওফী খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৬:৩৩

রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর জিগাতলায় সংঘর্ষের ঘটনায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ সিদ্দিকি।

আজ রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত আবদুল্লাহ সিদ্দিক হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। রাজধানীর জিগাতলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আবদুল্লাহ সিদ্দিকি রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় থাকতেন।

১৬:১০

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও এমপি ইকবালুর রহিমের বাড়িতে আগুন

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও তাঁর ভাই দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল ও ছররা গুলিতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের হাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির দিনাজপুর প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ ও ক্যামেরা পারসন আবু বক্কর সিদ্দিক মারধরের শিকার হয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড়ে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পলিটেকনিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বালুবাড়ী শহীদ মিনার মোড় হয়ে জোড়া ব্রিজের কাছে এলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে পৌরসভার দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই হুইপের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

দিনাজপুরে পুলিশের গাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীতএদিকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত হয়ে অর্ধশতাধিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি সবাই পুলিশের টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক সার্জন বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

১৬:০৩

সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি 

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।

১৫:০৪
অসহযোগ আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত ৫
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

রংপুরে সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসক জানান, নিহতের নাম খুসরু আহমেদ (৩০)। তিনি রংপুর শহরের গুরাতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জে ২ জন, মাগুরায় ১, রংপুরে ১ এবং কুমিল্লায় ১ জন।

১৪:৩৯
শান্তিপূর্ণ মিছিল–সমাবেশ প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার : হাইকোর্ট
সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আন্দোলনে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে আজ এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ।

১৪:৩৮
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্র
পেশাজীবীদের সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এর পরই জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এখন প্রেসক্লাবের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ অবস্থান করছে।

১৪:২৮
অসহযোগ আন্দোলনে সংঘর্ষে রংপুরে নিহত ৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনে রংপুরে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মাসুম (৩০)। তিনিও মহানগর যুবলীগের কর্মী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু বকর সিদ্দিক। এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করল প্রশাসন।

১৪:২৫
মিরপুর–১০ গোল চত্বরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ
মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের দখলে। আর মিরপুর–১১, পল্লবী, বিআরটিএ, গার্লস আইডিয়ালের সড়ক আন্দোলনকারীদের দখলে। মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করছে পুলিশ। আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের মাঝখানে রয়েছে সেনাবাহিনী।

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের দখলে। আর মিরপুর–১১, পল্লবী, বিআরটিএ, গার্লস আইডিয়ালের সড়ক আন্দোলনকারীদের দখলে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

১৪:০২
সুনামগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–পুলিশের সংঘর্ষ চলছে
সুনামগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি পয়েন্টে প্রথমে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাড়িয়ে দেয়। পরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ফুল দিতে যায়।  ফুল দিয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।  এ সময় ছাত্রলীগও পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার দিকে এগিয়ে আসে। তখন দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।  নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

১৩:৪৮
মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি সেবা বন্ধ
আবারও বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি পরিষেবা। টেলিযোগাযোগ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পক্ষ থেকে সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে ফোরজি পরিষেবা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল আছে। তবে সেটাও বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

১৩:৩৫
মাগুরায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির অসহযোগ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত মাগুরা। আজ রোববার সকাল ১০টার পর থেকে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাব্বি নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা ছাত্রদলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবির আজকের পত্রিকাকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিহতের ডাকনাম রাব্বী। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। এখনো ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে চলে গেছেন।’

নিহত রাব্বির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত মেহেদি হাসান রাব্বি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময় তাদের বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা ভায়নার মোড় ও পারনান্দুয়ালী এলাকার মহাসড়কে অবস্থান করে দখলে রেখেছে।

১৩:০৫
মুন্সীগঞ্জে আন্দোলনকারী-আ. লীগ সংঘর্ষে নিহত ২ 

মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুজন মৃত ছিল।’

ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল বলেন, যে দুজন মারা গেছেন তাদের মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ২২ থেকে ২৫ বছর। অপর একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।’ তাদের মরদেহ মর্গে আছে বলেও জানান তিনি।

তবে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান আজকের পত্রিকা প্রাণহানির বিষয়ে বলেন, ‘দুজনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।’

জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে শহরের থানারপুল এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পরে। এরপরপরই আন্দোলনকারীরা সেখানে পাল্টা হামলা চালালে গুলি বর্ষণ শুরু হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ থানারপুল এলাকায় অবস্থান নিলেও এখনো উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুর হাসান জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

১৬ জেলায় সহিংসতায় নিহত ৬৯, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ২১, লক্ষ্মীপুর ৮, নরসিংদী ৬, ফেনী ৫, বগুড়া ৪; কিশোরগঞ্জ, পাবনা, মাগুরা, রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, ও সিলেটে ৩ জন করে; মুন্সীগঞ্জ, ২ জন করে এবং জয়পুরহাট ও বরিশালে ১ জন করে নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।

১৮:৫৮

সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

সিরাজগঞ্জে ১১ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে তাদের পিটিয়ে হত্যা করে।

রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ১১ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

১৮:৩২

লংমার্চ টু ঢাকা আগামীকালই

ছাত্র-জনতার ঢাকা অভিমুখে যাত্রার যে ডাক দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সেটির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্টের পরিবর্তে আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) এগিয়ে আনা হয়েছে।

১৮:২৭

সিলেটে নিহত ৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে সিলেটের গোলাপগঞ্জে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিজিবি, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুদর্শন সেন।

১৮:১২

নরসিংদীতে নিহত ৬

নরসিংদীতে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী।

১৭:৫৬

তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে হতাহতের খবর আসছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশে ফের অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে সরকার। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ কারফিউ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

১৭:৫১

কিশোরগঞ্জে নিহত ৩

কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও সগযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একজন নারীসহ অন্তত চারজন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীসহ দুইজন দগ্ধ হয়ে এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আর একজন মারা গেছেন হার্টঅ্যাটাকে।

১৭:০৩

সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৮

সিরাজগঞ্জে সরকার পতনের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থী–জনতা এবং আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন অন্তত পাঁচজন, সিরাজগঞ্জ শহরে মারা গেছেন তিনজন। রায়গঞ্জে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তাঁর উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

১৬:৪৭

লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে নিহত ৪

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ ও অন্যান্য কারণে আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি ছুড়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদরের চকবাজার, বাগবাড়ি ও উত্তর ত্রিমোহিনী এলাকায় জমায়েত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ সারা দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত ছিল। অবধারিতভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অরূপ পাল দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুজনের নাম আফনান ও কাউসার। এছাড়া এই সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

তাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা সদর হাসপাতাল, বেসরকারি নোভা হাসপাতাল, আধুনিক হাসপাতাল ও কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

১৬:৪৫

ফেনীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আ.লীগের হামলা, নিহত ৫ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে ফেনীতে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪ টা) এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ রোববার দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন– ফেনী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (২০), সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২১) এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৯)।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ট্রাংক রোড থেকে দলবল নিয়ে শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল যান আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় সড়কে গুলি তাক করে সাংবাদিকদের একটি ব্যাংকের ভেতর তাড়া করে মোবাইল, প্রেস জ্যাকেট ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে মারধর করেন তারা।

পরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রজনতার ওপর অতর্কিত গুলি ও হামলা চালায় নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা করে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ থাকে যানচলাচল।

আবদুল কাদের নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত আর কিছু বলতে পারছি না।

১৬:৪২

বগুড়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ৩

বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের সাতমাথা এলাকা। সংঘর্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, বগুড়া সদর আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপুর বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নিহতরা হলেন– বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৪০), অপর একজন অজ্ঞাত (৬০)। তারা শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় নিহত হন। অপরজন কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৩৪)। তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় হামলার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তার লাশ দুপচাঁচিয়া উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাতমাথা চত্বর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এরপর তা আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সাতমাথা ত্যাগ করে। সাতমাথা চত্বর দখলে নেওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থাপনা এবং সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ প্লাজার সামনে অবস্থান করে। আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় অগ্নিসংযোগ শেষে পিডিবি রোড হয়ে শহীদ খোকন পার্কের ভেতরে এবং সার্কিট হাউস রোড হয়ে ফুল মার্কেটের সামনে গিয়ে পুলিশের ওপরে ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।

পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতমাথা থেকে তাদের হটিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও গোহাইল রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে ফাঁকা গুলি অব্যাহত রাখে। বেলা পৌনে ২টার দিকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তারা একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। অপর একজনের লাশ মর্গে আছে এমন তথ্য তিনি জানেন না বলে জানান তিনি।

এদিকে বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইএমও ডা. আওফী খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৬:৩৩

রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর জিগাতলায় সংঘর্ষের ঘটনায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ সিদ্দিকি।

আজ রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত আবদুল্লাহ সিদ্দিক হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। রাজধানীর জিগাতলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আবদুল্লাহ সিদ্দিকি রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় থাকতেন।

১৬:১০

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও এমপি ইকবালুর রহিমের বাড়িতে আগুন

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও তাঁর ভাই দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল ও ছররা গুলিতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের হাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির দিনাজপুর প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ ও ক্যামেরা পারসন আবু বক্কর সিদ্দিক মারধরের শিকার হয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড়ে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পলিটেকনিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বালুবাড়ী শহীদ মিনার মোড় হয়ে জোড়া ব্রিজের কাছে এলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে পৌরসভার দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই হুইপের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

দিনাজপুরে পুলিশের গাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীতএদিকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত হয়ে অর্ধশতাধিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি সবাই পুলিশের টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক সার্জন বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

১৬:০৩

সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি 

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।

১৫:০৪
অসহযোগ আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত ৫
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

রংপুরে সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসক জানান, নিহতের নাম খুসরু আহমেদ (৩০)। তিনি রংপুর শহরের গুরাতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জে ২ জন, মাগুরায় ১, রংপুরে ১ এবং কুমিল্লায় ১ জন।

১৪:৩৯
শান্তিপূর্ণ মিছিল–সমাবেশ প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার : হাইকোর্ট
সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আন্দোলনে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে আজ এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ।

১৪:৩৮
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্র
পেশাজীবীদের সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এর পরই জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এখন প্রেসক্লাবের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ অবস্থান করছে।

১৪:২৮
অসহযোগ আন্দোলনে সংঘর্ষে রংপুরে নিহত ৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনে রংপুরে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মাসুম (৩০)। তিনিও মহানগর যুবলীগের কর্মী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু বকর সিদ্দিক। এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করল প্রশাসন।

১৪:২৫
মিরপুর–১০ গোল চত্বরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ
মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের দখলে। আর মিরপুর–১১, পল্লবী, বিআরটিএ, গার্লস আইডিয়ালের সড়ক আন্দোলনকারীদের দখলে। মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করছে পুলিশ। আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের মাঝখানে রয়েছে সেনাবাহিনী।

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের দখলে। আর মিরপুর–১১, পল্লবী, বিআরটিএ, গার্লস আইডিয়ালের সড়ক আন্দোলনকারীদের দখলে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

১৪:০২
সুনামগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–পুলিশের সংঘর্ষ চলছে
সুনামগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি পয়েন্টে প্রথমে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাড়িয়ে দেয়। পরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ফুল দিতে যায়।  ফুল দিয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।  এ সময় ছাত্রলীগও পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার দিকে এগিয়ে আসে। তখন দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।  নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

১৩:৪৮
মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি সেবা বন্ধ
আবারও বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি পরিষেবা। টেলিযোগাযোগ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পক্ষ থেকে সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে ফোরজি পরিষেবা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল আছে। তবে সেটাও বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

১৩:৩৫
মাগুরায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির অসহযোগ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত মাগুরা। আজ রোববার সকাল ১০টার পর থেকে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাব্বি নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা ছাত্রদলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবির আজকের পত্রিকাকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিহতের ডাকনাম রাব্বী। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। এখনো ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে চলে গেছেন।’

নিহত রাব্বির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত মেহেদি হাসান রাব্বি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময় তাদের বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা ভায়নার মোড় ও পারনান্দুয়ালী এলাকার মহাসড়কে অবস্থান করে দখলে রেখেছে।

১৩:০৫
মুন্সীগঞ্জে আন্দোলনকারী-আ. লীগ সংঘর্ষে নিহত ২ 

মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুজন মৃত ছিল।’

ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল বলেন, যে দুজন মারা গেছেন তাদের মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ২২ থেকে ২৫ বছর। অপর একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।’ তাদের মরদেহ মর্গে আছে বলেও জানান তিনি।

তবে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান আজকের পত্রিকা প্রাণহানির বিষয়ে বলেন, ‘দুজনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।’

জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে শহরের থানারপুল এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পরে। এরপরপরই আন্দোলনকারীরা সেখানে পাল্টা হামলা চালালে গুলি বর্ষণ শুরু হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ থানারপুল এলাকায় অবস্থান নিলেও এখনো উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুর হাসান জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।