কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতা নিহতের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে একদফা দাবি আদায়ে শনিবার সারা দেশে ব্যাপক ‘গণবিক্ষোভ’ দেখেছে বাংলাদেশ। রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আবারও রাজপথে নেমে এসেছেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে এই স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছে— ‘এক সপ্তাহের প্রাণনাশক ধরপাকড়ের পর বিক্ষোভে ফের কাঁপল বাংলাদেশ।’
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে এই বিক্ষোভকে। কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর মারাত্মক ক্র্যাকডাউন অনেক বাংলাদেশিকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এর ফলে চলমান আন্দোলনের পরিধি আরও প্রসারিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া শিরোনাম করেছে— ‘খুনি সরকার’, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির মধ্যে বাংলাদেশে আবারও আন্দোলন শুরু হয়েছে।’ তারা লিখেছে, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লায় সাতজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করা হয়। সড়ক অবরোধ করার সময় সরকারপন্থি দলগুলো বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবির মধ্যে বাংলাদেশে আবারও ফিরেছে আন্দোলন ও সহিংসতা।’
ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া শিরোনাম করেছে— ‘বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকারীরা বলছেন রক্তক্ষয়ী জুলাই আমাদের জন্য শেষ হয়নি, হাসিনার পদত্যাগ চায় তারা।’
এনডিটিভি তাদের শিরোনামে লিখেছে— ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে।’
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ছাত্রদের উদ্ধৃতি দিয়ে শিরোনামে লিখেছে— ‘খুনি সরকারের কাছে বিচার চাইতে পারি না। হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশে আবারও শুরু আন্দোলন।’
পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের শিরোনামে লিখেছে— ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশ আবার রক্তাক্ত! কুমিল্লায় পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি, আহত পাঁচ।’