নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদন পৌর শহরের কেন্দুয়া রোডস্থ বরের বাড়ি হতে কনের বাড়ি পাবনা যাওয়ার পথে কাঞ্জারখাল নামক স্থানে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গলায় ছুরি ধরে বরযাত্রীদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন লুট করে ডাকাত দল। মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের মদন-কেন্দুয়া সড়কের কাঞ্জারখালে রোববার(১৪ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ৩টা ২০ মিনিটে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে এ ঘটনা ঘটে।
বরযাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৩টায় খন্দকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে বর মোবাশ্বের হোসেন মদন পৌর শহরের কেন্দুয়া রোডস্থ নিজ বাসা থেকে কনের বাড়ি পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুটি মাইক্রোবাসে রওনা করে। বরের গাড়িটি কাঞ্জারখাল নামক স্থানে পৌঁছলে হেন্ডট্রলী ও মাছের জাল দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। গাড়ি থামানোর সাথে সাথেই ৪/৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাড়িতে হামলা করে কনের স্বর্ণালংকার সহ মেয়ে যাত্রীদের গলা ও কানের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৬০/৭০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে জায়।
এ ঘটনার পর বরের বড় ভাই ৯৯৯ এ কল দিলে ৪০ মিনিট পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে ডাকাতদের ভয়ে বরযাত্রী গাড়ি কেন্দুয়া থানায় আশ্রয় নেয়। বরের গাড়ি চালক এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বরযাত্রীরা পুলিশকে জানালে পুলিশ চালক মোবারক হোসেনকে আটক করে। তাকে ছেড়ে নেওয়ার জন্য ২জন্য কেন্দুয়া থানায় সুপারিশ করতে আসলে তাদেরকেও আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের সহ মাইক্রোবাসটি মদন থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। মদন থানা পুলিশ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বরের বড় ভাই মিজান জানান, গাড়ি ছাড়ার আগেই ড্রাইভারের গতিবিধি আমাদের সন্দেহ হয়। কাঞ্জারখালের পাশেই একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা আছে। বক্সে পুলিশ থাকলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটত না। আমাদের প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকা লুট হয়ে গেছে।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার জানান ডাকাতির ঘটনায় ভিকটিমের কথা মতো চালক সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।