শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফারজানা মীমের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
হারুন বলেন, মীমের করা অভিযোগটি নিয়ে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে জবি ভিসির সঙ্গেও কথা হয়েছে। অভিযোগের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই।
তিনি বলেন, মীমকে কেন বারবার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।
যৌন হয়রানি : আরও দুই জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এর আগে, সোমবার বিকেলে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ফারজানা মীম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।