এখন থেকে ট্রেনে চড়লে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া। রেল ভ্রমণে সরকারের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ভাড়া বাড়বে। এপ্রিল থেকেই কার্যকর করতে তোড়জোড় শুরু করেছে রেলওয়ে। তবে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক ও রেলপথমন্ত্রী দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এ মুহূর্তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাড়া সমন্বয় করব। আমরা চেষ্টা করছি আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে বাস্তবায়ন করার। এতে করে আমাদেরও আয়-ব্যয়ের পার্থক্য কমে আসবে। তবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহণে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত থাকছে বলে রেলওয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। রেলের আয় বাড়াতেই এ উদ্যোগ। তবে পণ্য পরিবহণে ভাড়া থাকবে আগের মতোই।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের। তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়বে না।
এ সময় রেলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তিনি (ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) কি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক নাকি? আমি বলছি, এখন ভাড়া বাড়বে না। কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে জানান দিয়ে তার পর আমরা চিন্তা করব। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো কারণ নেই।
উল্লেখ্য, ট্রেনে চড়ে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করলে সরকার বিভিন্ন হারে অর্থছাড়ের সুবিধা দিয়ে আসছিল। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে ছাড় পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ।
রেলের হিসাবে, এক টাকা আয় করতে প্রায় ৩ টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। এ ব্যবধান কমাতেই সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
একই সঙ্গে যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়া বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং স্নিগ্ধাসহ অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।