বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিও পোস্ট করে এই ঘোষণা দেন তিনি।
আট মিনিট তেতাল্লিশ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে তিনি জানান, তার স্বামী গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। দুজন আলাদা হয়ে গেছেন।
খুব দ্রুত তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।তিনি ভিডিও শুরুতে তার স্বামী রকিব সম্পর্কে বলেন, আমাদের বোঝাপড়া ভালো ছিল এবং আমরা ভালো ছিলাম। সে খুব ভালো একজন মানুষ। খুব পরোপকারী ও কেয়ারিং।
আমার পুরো পরিবারকে সম্মান করেছে। সব সময় ছাতার মতো করে আগলে রেখেছে।’তারপর নিজেদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলেন এই নায়িকা। বলেন, একটা ছাদের নিচে দুজন ভালো নেই।
এটা শুধু ওই দুজন বলতে পারবে। আর কেউ বুঝবে না। আমাদের যে সম্পর্ক ছিল এবং সম্মান ছিল সেই জায়গা থেকে দুজন ভেবেছিলাম সেপারেশনে যাব। যাব না অলরেডি আমরা সেপারেশনে আছি। হয়তো খুব দ্রুত এটার একটা সমাপ্তি হবে।
তবে আমি তাকে সম্মান করি।’তিনি তাদের সন্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার যে ছোট বাবুটা। আমার ফারিস আমার কলিজার টুকরা। ছোট বাচ্চাটাকে অনেকে অনেক কথা বলেন। ওকে নিয়ে কিছু লিখবেন না। কোনো বাচ্চাকে নিয়েই লিখবেন না। আমার আর ফারিসের জন্য দোয়া করবেন। প্রফেশন থেকে অনেক দূরে। নতুন করে কাজ শুরু করব। আমার বাচ্চাটা বড় করব। সবাই দোয়া করবেন ফারিসকে নিয়ে আমার চলার পথটা যেন মসৃণ হয়।’
যারা এই নায়িকার ভিডিও ও ছবির নিজে আজেবাজে কমেন্ট করেন তাদের নিয়েও কথা বলেন এই নায়িকা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমার এ ভিডিও দেখে হয়তো অনেকে অনেক কথা বলবেন। অনেক রকমের বাজে কমেন্ট করবেন। এই কমেন্টগুলো আমার বুকে তীরের মতো বিধবে। কষ্ট হয়। কিছু বলি না। কিন্তু লিখেন না। আমি কষ্ট পাই।’
ভিডিওতে বিভিন্ন সময়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এই নায়িকা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের নেতা রকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এই নায়িকা। ২০২১ সালের ২২ মে তাদের ওই বিয়ে ভেঙে যায়।