রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৯-২৫ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ উদ্যাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, মৎস্য বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান অপরিসীম। জনগণের শতকরা ৬০ ভাগ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহসহ গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সরকার মৎস্য খাতের বিপুল সম্ভাবনা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর উন্নয়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উন্নত প্রযুক্তির মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা সংরক্ষণ, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছ আহরণে বিশ্বে ৪র্থ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের একটি উল্লে¬খযোগ্য সাফল্য বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় দেশের অর্থনীতিতে বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরে অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার উল্লে¬খযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
দেশের সমৃদ্ধি ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সাথে একাত্ম হয়ে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’ যথার্থ এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমি ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ এর সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”