দিন যত যাচ্ছে ডেজার্ট হিসেবে মুজের চাহিদাও তেমন বাড়ছে। আইসক্রিমের মতোই মোলায়েম এবং সুস্বাদু এই মুজ্ তৈরি করতে দরকার পরে প্রচুর পরিমাণে ক্রিম। বলা হয় হুইপড্ ক্রিম আবিষ্কারের পর তা দিয়েই নানা ধরনের ডেজার্ট তৈরি করতে গিয়েই নাকি মুজ্ তৈরির কৌশল আবিষ্কার হয়।
চকোলেট, স্ট্রবেরি, ক্যারামেল, ভ্যানিলা, বিভিন্ন ধরনের মশলা ও ফ্লেবার দিয়ে নানা স্বাদের মুজ্ তৈরি করা হয়। মিষ্টি স্বাদের মুজ্ খেতে হয় ফ্রিজে ঠান্ডা করে। আবার অনেক জায়গায় গরম গরম মুজ খাওয়ারও চল রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুজ্ তৈরি করা হয় চিকেন, মাছ, চিজ, সবজি ইত্যাদি দিয়ে। ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এগুলো মেশানো হয়।
মনে করা হয়, মোটামুটি ১৭৬৮ সাল থেকেই হুইপড্ ক্রিমের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আর তারপর থেকেই এই ক্রিম দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে নানা ডেজার্ট তৈরি শুরু হয়। মুজ্ সেরকমই একটি সুইট ডিশ। ১৯৫০ সালের দিকে আমেরিকাতে মাছের মুজ্ দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেখানে এই মুজে চুবিয়ে স্ন্যাক্স খাওয়ার চল আছে। এই মুজ অনেকটা সস্ বা মেয়োনিজের মতো।
তবে যত বৈচিত্র্যই থাকুক না কেন জনপ্রিয়তার নিরিখে চকোলেট মুজই রয়েছে এক নম্বরে। আপনিও কি চকোলেট মুজ খেতে ভালোবাসেন? তাহলে নিজেই চকোলেট মুজ্ তৈরির কৌশলটা শিখে নিন। সামান্য উপকরণ দিয়ে মাত্র পনেরো মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু মুজ।
উপকরণ
ডার্ক চকোলেট- ২০০ গ্রাম, কফি- ১ চা চামচ, মাখন- ২-৩ টেবিল চামচ, হুইপড্ ক্রিম- ১ কাপ, গার্নিশিং-এর জন্য প্রয়াজন পড়বে চেরি- ইচ্ছেমতো
প্রণালী
চকোলেট গ্রেট করে নিন। না হলে ভেঙে গুঁড়ো করেও নিতে পারেন। একটি কড়াইয়ে পানি গরম করতে বসান। তাতে একটি স্ট্যান্ড বসান। তার ওপর বাটিতে করে চকোলেট গুঁড়ো বসান। এ সময় ক্রমাগত চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। চকোলেট পুরোপুরি গলিয়ে ফেলতে হবে। চকোলেট গলে গেলে তাতে কফি মেশান। ভালো করে নাড়তে থাকুন। অন্যদিকে ব্লেন্ডারে হুইপস্ ক্রিম আরও মোলায়েম করে ব্লেন্ড করুন। সুন্দর ফেনা উঠতে শুরু করলে তাতে খানিকটা গলানো চকোলেট মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন।
এবার ছোটো কাঁচের গ্লাস বা কাপে ব্লেন্ড করা ক্রিম ঢেলে দিন। ওপরে বাকি পড়ে থাক তরল চকোলেট ছড়িয়ে দিন। এভাবে মুজের গ্লাসটি আধ ঘণ্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিন। ওপরে চাইলে চকোলেটের টুকরো কিংবা চেরি দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন।