ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাধিক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পালাচ্ছে জান্তা সৈন্যরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র জোটের তীব্র হামলায় বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সেনাবাহিনী। মাত্র তিন সপ্তাহেই অন্তত ১০টি শহরসহ ভারতের মিজোরাম-মিয়ানমার সীমান্ত দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। হামলায় টিকতে না পেরে ভারতে পালাচ্ছে জান্তা সৈন্যরা। দেশ ছেড়ে শরণার্থী হচ্ছে সাধারণ মানুষও।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর একাত্ম হয় জান্তা বিরোধী আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো। অক্টোবরের শেষ দিকে সশস্ত্র জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গড়ে জান্তা বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা।

রাখাইনের আরাকান আর্মির নেতৃত্বে তিনটি আদিবাসী সংগঠনের এই জোটে রয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। হামলায় সহযোগিতা করছে বিপ্লবী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের কিছু সহযোগী সংগঠনও।

অপারেশন ১০২৭ নামে একযোগে হামলা শুরুর তিন সপ্তাহেই শান রাজ্যের পাঁচটি, সাগাইং অঞ্চলে দুটি ও চিন রাজ্যের তিনটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

রাখাইনের ৪০টিসহ মাগওয়ে ও শান রাজ্যের কয়েকশ’ নিরাপত্তা ফাঁড়িও দখল করেছে বিদ্রোহীরা। লড়াইয়ে এ পর্যন্ত কয়েকশ’ সেনা নিহত হয়েছে। সেই তুলনায় বিদ্রোহীদের প্রাণ গেছে কমই।

বিদ্রোহীদের হামলায় প্রান বাঁচাতে ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। যুদ্ধে হেরে আত্মসমর্পণ করেছে শতাধিক সেনা ও পুলিশও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

একাধিক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পালাচ্ছে জান্তা সৈন্যরা

আপডেট টাইম : ১০:৫১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র জোটের তীব্র হামলায় বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সেনাবাহিনী। মাত্র তিন সপ্তাহেই অন্তত ১০টি শহরসহ ভারতের মিজোরাম-মিয়ানমার সীমান্ত দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। হামলায় টিকতে না পেরে ভারতে পালাচ্ছে জান্তা সৈন্যরা। দেশ ছেড়ে শরণার্থী হচ্ছে সাধারণ মানুষও।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর একাত্ম হয় জান্তা বিরোধী আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো। অক্টোবরের শেষ দিকে সশস্ত্র জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গড়ে জান্তা বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা।

রাখাইনের আরাকান আর্মির নেতৃত্বে তিনটি আদিবাসী সংগঠনের এই জোটে রয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। হামলায় সহযোগিতা করছে বিপ্লবী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের কিছু সহযোগী সংগঠনও।

অপারেশন ১০২৭ নামে একযোগে হামলা শুরুর তিন সপ্তাহেই শান রাজ্যের পাঁচটি, সাগাইং অঞ্চলে দুটি ও চিন রাজ্যের তিনটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

রাখাইনের ৪০টিসহ মাগওয়ে ও শান রাজ্যের কয়েকশ’ নিরাপত্তা ফাঁড়িও দখল করেছে বিদ্রোহীরা। লড়াইয়ে এ পর্যন্ত কয়েকশ’ সেনা নিহত হয়েছে। সেই তুলনায় বিদ্রোহীদের প্রাণ গেছে কমই।

বিদ্রোহীদের হামলায় প্রান বাঁচাতে ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। যুদ্ধে হেরে আত্মসমর্পণ করেছে শতাধিক সেনা ও পুলিশও।