হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সরেজমিনে জেলার ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানই পেকে গেছে। অনেকে আবার আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিনাজপুরের পলি অঞ্চলে মূলত আগাম ধান লাগানো হয়। সাধারণত এসব অঞ্চলের মাটিতে বছরে ৪-৫টি ফসল চাষাবাদ করেন কৃষকরা। আমন ধান কাটার পরে এই জমিতে আলু চাষ করা হবে।
কৃষকরা জানান, এবার নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। সময়মতো বর্ষার পানি না পাওয়া এবং তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন তারা। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাধছেন কৃষকরা।
বিরামপুর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, এবার ধান চাষের সময় বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে চারা রোপণ করতে পারিনি। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে। ১৯ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। প্রায় জমির ধান পেকে গেছে। দু-একদিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করবো।
হাকিমপুর উপজেলার সাতনী গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। শুরুর দিকে বর্ষার পানি ছিল না। পরে আমন চাষের জন্য যথেষ্ট পানি পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। এখন আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। জেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।