জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মাটি ও মানুষের নেত্রী, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন সময়ে। তিনি আন্তর্জাতিক সফরগুলোতে বিদেশে যান বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে। প্রধানমন্ত্রী হয়েও নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বড়দের সম্মান জানান, ছোটদের স্নেহ করেন। মাতৃসুলভ স্নেহে কোলে তুলে নেন শিশুদের। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকেন না, হয়ে যান আপামর বাঙালি নারী—কখনো দাদি, কখনো মা, কখনো বোন। এই সর্বজনীন হয়ে ওঠাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে করেছে অনন্য। এজন্যই তিনি বিশ্বের সব নেতা থেকে আলাদা, মানবতাবাদী নেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন। লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের প্রতিটি কোণায় ঘোরাফেরা করেন। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। এ সময় কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। কয়েকজন নারী যাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। শিশুদের কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানের পাইলট, বিমান ক্রুরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলেন।
অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অবাক হয়েছেন যাত্রীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীও তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। এটি বুধবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গঠিত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়া মন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে এপিপিজির একটি প্রতিনিধিদলসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।