মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে সবখানেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই দুই জনের মাঠের অর্জনে যেমন গর্ব করে তাদের ভক্ত-সমর্থকরা, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তাদের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। এবার ‘সিআরসেভেন’ রোনালদোকে টপকে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শীর্ষস্থানে উঠে এলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক টুইট করে ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেকর্ডের মালিকের একটি তালিকা প্রকাশ করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ। যে তালিকার শীর্ষে অবস্থা করছেন মেসি। রোনালদো আছেন দুইয়ে। এ ছাড়া তিনে আছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি, চারে কিলিয়ান এমবাপে ও পাঁচে নেইমার জুনিয়র।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সর্বোচ্চ ৪১টি রেকর্ড গড়ার মধ্য দিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছেন মেসি। তার চেয়ে একটি কম রেকর্ড গড়া রোনালদোর অবস্থান দুইয়ে। তালিকায় তিনে থাকা পোল্যান্ড ও বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড লেভান্ডোফস্কির রেকর্ড ৯টি। এ ছাড়া চারে থাকা ফরাসি তারকা এমবাপের ৫টি রেকর্ড এবং ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার গড়েছেন ৪টি রেকর্ড।
মাঠের খেলায় মেসি ও রোনালদো দুজনই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। একসময় তারা একই লিগে খেলতেন। এছাড়া ইউরোপে তারা দীর্ঘদিন খেলেছেন। কিন্তু এখন দুজন দুই প্রান্তে। একজন সৌদি আরবের লিগ মাতাচ্ছেন, আরেকজন ব্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে। তবে এখনও দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা একটুও কমেনি, বরং দিন দিন তা বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকায় রোনালদোর সবার ওপরে থাকার কথা। সবমিলিয়ে সেটি ছিল রোনালদোর ১৭তম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এদিকে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপেও নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েন পর্তুগিজ তারকা। যেখানে বর্তমানে খেলছেন এমন কেউ তার ধারেকাছেও নেই।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হেড দিয়ে রোনালদো ১৪৫তম গোল করেছেন। তারচেয়ে একটি কম গোল (১৪৪) নিয়ে এর পরের অবস্থানে আছেন ১৯৭৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির গার্ড মুলার। হেডে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে করেছিলেন ১২৪টি গোল। তবে টানা দুই রেকর্ডের পরেও গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শীর্ষে অবস্থান করছেন ইন্টার মায়ামি তারকা ‘এলএম১০’।
সর্বশেষ কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জিতে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন মেসি। জীবনকে উপভোগ করতে এখন ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাব ছেড়ে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে। সেখানে অভিষেক ম্যাচেই ফি-কিকে গোল করার অনন্য নজির গড়েন। পরবর্তী ম্যাচে দুটি গোলের পাশাপাশি অবদান রাখেন সতীর্থের গোলেও।