ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের ছবক শুনতে জাতি রাজি নয়: গয়েশ্বর পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করছে বিএসএফ: মমতা জানাল কুবি প্রশাসন নীতিমালার শর্ত পূরণ করায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক পান শিবিরের সাবেক সভাপতি সরে যাচ্ছেন রোহিত, আবার অধিনায়ক কোহলি ৬ ইরানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি আরব গণঅভ্যুত্থানের ছবি-ভিডিও জমা দেওয়ার অনুরোধ বিশেষ সেলের শুনানিতে ১১ আইনজীবী চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব নিত্যপণ্যে পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা জয় দিয়ে তাসকিনের রেকর্ডময় দিন রাঙাল রাজশাহী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আবার উঠছে ২০ বছর আগের প্রশ্ন

এবার প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউক্রেনের যুবক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার

ফেসবুকে পরিচয়, দুই বছরের প্রেম। পাড়ি দিতে হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার দূরত্ব। তবুও ভালোবাসার কাছে হার মানল সব বাধা। ধর্ম, দেশ, সংস্কৃতি—কোনোকিছুই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায় হতে পারেনি।

ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। এখন তিনি মোহাম্মদ প্রকিপ। আর তার জীবনসঙ্গিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার কালাছড়া গ্রামের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার, যিনি এখন পরিচিত বৃষ্টি প্রকিপ নামে।

ফেসবুকে শুরু হওয়া এ ভালোবাসার গল্পের শেষ অধ্যায় লিখিত হয়েছে বিয়ের মাধ্যমে। দুই বছর ধরে তারা একে অপরকে চেনার পর ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে বৃষ্টির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রকিপ।

বৃষ্টি জানান, ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর থেকেই প্রকিপের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তৈরি হয় গভীর সম্পর্ক। প্রকিপ প্রথম থেকেই তার প্রতি আন্তরিক ছিল। তিনি বারবার বলতেন, বৃষ্টি তার জীবনের অংশ হবে। এই প্রতিশ্রুতিই তাকে আকৃষ্ট করে।

অন্যদিকে প্রকিপ জানান, বৃষ্টির প্রতি তার ভালোবাসা এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি তাকে ভীষণ টানে। ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হওয়ার বিষয়টিও তাকে অনুপ্রাণিত করে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনার বিষয়ে বৃষ্টি জানান, প্রকিপের সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটাতে প্রস্তুত। প্রকিপ বলেন, বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। আমি এখানে ভালো আছি। বৃষ্টিকে পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এদিকে কালাছড়া গ্রামের বাসিন্দারা এই প্রেমের গল্পকে ঘিরে বেশ উৎসাহী। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরহাদ আলী জানান, দূরদেশের মানুষ বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছে এটা গ্রামের মানুষের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তাদের দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছেন।

প্রেম যে সত্যিই সীমাহীন, প্রকিপ ও বৃষ্টির গল্প তারই প্রমাণ। এই দম্পতির সুখী জীবন কামনা করেন সবাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের ছবক শুনতে জাতি রাজি নয়: গয়েশ্বর

এবার প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউক্রেনের যুবক

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ফেসবুকে পরিচয়, দুই বছরের প্রেম। পাড়ি দিতে হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার দূরত্ব। তবুও ভালোবাসার কাছে হার মানল সব বাধা। ধর্ম, দেশ, সংস্কৃতি—কোনোকিছুই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায় হতে পারেনি।

ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। এখন তিনি মোহাম্মদ প্রকিপ। আর তার জীবনসঙ্গিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার কালাছড়া গ্রামের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার, যিনি এখন পরিচিত বৃষ্টি প্রকিপ নামে।

ফেসবুকে শুরু হওয়া এ ভালোবাসার গল্পের শেষ অধ্যায় লিখিত হয়েছে বিয়ের মাধ্যমে। দুই বছর ধরে তারা একে অপরকে চেনার পর ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে বৃষ্টির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রকিপ।

বৃষ্টি জানান, ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর থেকেই প্রকিপের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তৈরি হয় গভীর সম্পর্ক। প্রকিপ প্রথম থেকেই তার প্রতি আন্তরিক ছিল। তিনি বারবার বলতেন, বৃষ্টি তার জীবনের অংশ হবে। এই প্রতিশ্রুতিই তাকে আকৃষ্ট করে।

অন্যদিকে প্রকিপ জানান, বৃষ্টির প্রতি তার ভালোবাসা এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি তাকে ভীষণ টানে। ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হওয়ার বিষয়টিও তাকে অনুপ্রাণিত করে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনার বিষয়ে বৃষ্টি জানান, প্রকিপের সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটাতে প্রস্তুত। প্রকিপ বলেন, বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। আমি এখানে ভালো আছি। বৃষ্টিকে পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এদিকে কালাছড়া গ্রামের বাসিন্দারা এই প্রেমের গল্পকে ঘিরে বেশ উৎসাহী। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরহাদ আলী জানান, দূরদেশের মানুষ বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছে এটা গ্রামের মানুষের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তাদের দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছেন।

প্রেম যে সত্যিই সীমাহীন, প্রকিপ ও বৃষ্টির গল্প তারই প্রমাণ। এই দম্পতির সুখী জীবন কামনা করেন সবাই।